কলকাতা : “আগে আমাকে যোগ্যদেরটা ঠিক করতে দিন। তারপরে আমি অন্য কথা বলব। আমি আবার ডাকব। আগে যোগ্যদেরটা হয়ে যাক। বাদবাকি যাঁরা থাকবেন, যাঁদের অযোগ্য বলা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী কী প্রমাণ আছে আমি দেখব।” এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে চাকরিহারাদের উদ্দেশে এমনই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। “এসএসসি বা রাজ্য সরকারের মাধ্য়মে যদি এই নিয়োগ ১০০ বার হয়, তাহলে ১০০ বারই চুরি হবে এবং ১০০ বারই সেই নিয়োগ বাতিল হবে,” বলে খোঁচা তাঁর।
শতরূপ বললেন, “অযোগ্যদের কাছ থেকে যেহেতু উনি এবং ওঁর দল পয়সা খেয়ে বসে আছে, সেহেতু যে করেই হোক সেই অযোগ্যদের স্বার্থ ওঁকে রক্ষা করতেই হবে। কিন্তু, এটুকু বলছি এটা করতে গিয়ে যেটা মুখ্যমন্ত্রী করলেন, এবার যে নিয়োগটা হবে সেটা যাতে আবার আদালত থেকে বাতিল হয়ে যায় তার সূত্রপাত আজই করে দিলেন। এই যে কথাটা উনি বললেন, অযোগ্যদের আমি চাকরিতে রাখার ব্যবস্থাটা কোনওভাবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে দেখেশুনে করব, এর আগেরবারও এটা করতে গিয়েছিলেন। সুপার-নিউমারারি পোস্ট ক্রিয়েট করে যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছেন, তাঁদের চাকরি রক্ষা করতে গিয়েছিলেন। সেইটার জন্যই ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি চলে গেল। আজ উনি একটই জিনিসের ব্যবস্থা করলেন। এই কারণেই বলেছিলাম, টাকা খেয়ে বসে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে কোনও স্বচ্ছ নিয়োগ সম্ভব নয়। সেই কারণে আদালত নিযুক্ত কোনও কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হোক। এসএসসি বা রাজ্য সরকারের মাধ্য়মে যদি এই নিয়োগ ১০০ বার হয়, তাহলে ১০০ বারই চুরি হবে এবং ১০০ বারই সেই নিয়োগ বাতিল হবে।”
কারা যোগ্য, আর কারা অযোগ্য ? চাকরি-বাতিল ইস্যুতে যাবতীয় বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন সেটাই। এই পরিস্থিতিতে আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এনিয়ে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “আগে আমাকে যোগ্যদেরটা ঠিক করতে দিন। তারপরে আমি অন্য কথা বলব। আমি আবার ডাকব। আগে যোগ্যদেরটা হয়ে যাক। বাদবাকি যাঁরা থাকবেন, যাঁদের অযোগ্য বলা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী কী প্রমাণ আছে আমি দেখব। সত্যিই যদি এভিডেন্ট প্রমাণিত হয়…তাঁরা অযোগ্য, তখন হয়ত আমার কিছু করার থাকবে না ওই ডিপার্টমেন্টে। কিন্তু, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করব পরে। আগে ফার্স্ট ফেজ, যোগ্যদেরটা রক্ষা করা। সেকেন্ড ফেজ, কাকে অযোগ্য বলেছে, কেন বলেছে, কী কারণে বলেছে , কোন এজেন্সি তদন্ত করেছে, কী কী কাগজপত্র আছে টোটালটা দেখব। তারপরে তাঁদের নিয়ে আমি আলাদা করে মিটিং করে আমাদের কথা বলব। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। চিন্তা করবেন না। যোগ্য ও অযোগ্যের মধ্যে গন্ডগোল লাগাবেন না।”
আরও দেখুন