জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কর্পোরেট দুনিয়াটা (Corporate) ঠিক কতটা ‘টক্সিক’ (Toxic) বা বিষাক্ত, আবার তার এক জ্বলন্ত উদাহরণ সামনে এল। অফিসের মিটিং চলছিল। সেই মিটিংয়ে নাগাড়ে চিৎকার করে যাচ্ছিলেন CEO! তাঁর সেই চিৎকারের চোটেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন ওই সংস্থায় কর্মরত এক আইটি কর্মী। তাঁর কথায়, “আমার দমবন্ধ লাগতে শুরু করে! শ্বাস নিতে কষ্ট হতে শুরু করে!” তড়িঘড়ি তখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খুব বেশিদিন না, মাত্র ৭ মাস হয়েছিল ওই স্টার্ট আপ সংস্থায় ডেটা সায়েন্স কর্মী যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই ‘ওয়ার্ক কালচার’-এর (Work Culture) নামে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন ওই কর্মী।
গুগল মিটে CEO-র চিৎকার!
এক দীর্ঘ রেডিট পোস্টে ওই কর্মী লিখেছেন, গুগল মিটের সময় সিইও চিৎকার করতে শুরু করেন। ৭ মাস ধরেই চলছিল এই মানসিক নির্যাতন। নন-টেক সিইও সবকিছু মাইক্রোম্যানেজ দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। অবাস্তব ডেডলাইন দিতেন আর তারপর সেউ ডেডলাইনের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য অমানুষিক চাপ দিতেন। শেষমেশ গুগল মিটে সিইও-র নাগাড়ে চিৎকারে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ওই সংস্থা থেকে পদত্যাগও করেছেন। কিন্তু তারপরেও ওই সিইও এবং সংস্থার এইচআর তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ।
অবাস্তব ডেডলাইন!
ওই কর্মীর কথায়, “নন-টেক সিইওর ডেয়া সায়েন্সের কোনও জ্ঞা ছিল না। কিন্তু তিনি নিজেকে মনে করতেন যে কোনও ধরনের ডেটা সায়েন্স মাস্টারমাইন্ড। অবাস্তব ডেডলাইন দিতেন। যখন ইচ্ছে তখন প্রোজেক্ট পালটে দিতেন। আমাকে পেশাগত এমনকি ব্যক্তিগতভাবেও টার্গেট করতেন। টানা ৭ মাস ধরে আমি ১২-১৪ ঘণ্টা ধরে কাজ করেছি। এমনকি সপ্তাহান্তেও। এই ৭ মাসে আমি মাত্র ২ দিন সিক লিভ নিয়েছি। তারপরেও সারাক্ষণ সমালোচনা করতেন। দোষ খুঁজে বের করতেন। মানসিক হয়রানি করতেন।”
‘আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হতে শুরু করে’
এর জেরে ওই কোম্পানিতে ইস্তফা দেন ওই কর্মী। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, তারপরেও মানসিক নির্যাতন কমেনি। সিইও গুগল মিটে ভিডিয়ো কল করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন। তারপর চিৎকার। নাগাড়ে ওই চিৎকারে তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে ‘বিপর্যস্ত’ হয়ে পড়েন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার বুকে টান উঠতে থাকে। আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হতে শুরু করে। আমি চেয়ারে লুটিয়ে পড়লাম। তখনই মা পাশের ঘর থেকে শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন ও আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।”
বিষাক্ত কর্পোরেট!
তাঁর এই পোস্টের পরই রেডিট ইউজাররা অনেকেই তাঁকে ওই ‘সিইও’-র বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দেন। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে বেঙ্গালুরুর-ই একআইটি কর্মী রুমমেটকে ‘গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর’ মেসেজ পাঠিয়ে আত্মঘাতী হন। সেক্ষেত্রেও অভিযোগ ওঠে অফিসের ‘টক্সিক’ পরিবেশ ও অকারণ কাজের বোঝার। নিখিল সোমবংশী রুমমেটকে লিখেছিলেন, ‘বাড়িতে বোলো দুর্ঘটনায় আমার মৃত্যু হয়েছে।’ এরপর এক লেকের ধারে ২৫ বছরের তরতাজা যুবক দেহ উদ্ধার হয়। এর আগে এক বেসরকারি ব্যাংকের মিটিংয়ে কর্মীদের উপর ম্যানেজারের অকথ্য অত্যাচারের ভিডিয়োও ভাইরাল হয়।
আরও পড়ুন, Voter ID Card in 15 days: ৩০ নয়, এবার ১৫ দিনেই হাতে পেয়ে যাবেন সচিত্র ভোটার কার্ড! জানুন, কীভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন?
আরও পড়ুন, India’s first private station in Bhopal: প্যালেস না পাঁচতারা হোটেল! ভারতের প্রথম বেসরকারি রেলস্টেশনের ছবি দেখলে হাঁ হয়ে যাবেন…
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)