জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সংবিধান দিবসের জবাবি ভাষণে পরিবারতন্ত্র টেনে কংগ্রেসকে ফালাফালা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জরুরি অবস্থায় থেকে শাহ বানো মামলা, সংবিধান সংশোধন থেকে ৩৭০ ধারা, একের পর অস্ত্র বের করে বিঁধলেন নেহরু-গান্ধী পরিবারকে। জরুরি অবস্থায় কথা টেনে এনে নরেন্দ্র মোদী বলেন, জরুরি অবস্থায় কালি কংগ্রেস কখনও মুছতে পারবে না। মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন-দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অসংখ্য ব্যক্তিকে গুম করেছেন হাসিনা! ইউনূসের হাতে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে বলেন, কংগ্রেস দেশের গণতন্ত্রের গলা চেপে ধরে দেশটাকে জেলখানায় পরিণত করেছিল। টানা ২ বছর মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল কংগ্রেস। সংবিধান তৈরির ২৫ বছরের মধ্যে তার টুকরো করে ফেলেছিল কংগ্রেস। সংবাদমাধ্যমের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস সেই দাগ কখনওই মুছে ফেলতে পারবে না।
গান্ধী পরিবারের কথা উল্লেখ না করে মোদী বলেন, একটা পরিবার সংবিধানের বারবার অপমান করেছে। জওহরলাল নেহরুর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি মুখ্য়মন্ত্রীদের চিঠি লিখে বলেছিলেন, সংবিধান যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সেই সংবিধানও বদলে ফেলা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধান বদল করার বীজ পঁুতেছিলেন জওহরলাল নেহরু। সেই কাজটাই করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। রক্তের গন্ধ পেয়ে সংবিধানের সাহায্য় নিয়ে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। সংবিধানকে কাজে লাগিয়ে আদালতের ক্ষমতাও ছেঁটে ফেলেছিলেন ইন্দিরা। টানা ৬০ বছরের রাজত্বে ৭৫ বার সংবিধান বদল করেছে কংগ্রেস।
এদিন বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের এখন সবচেয়ে প্রয়োজন ঐক্য। আমাদের সরকার ৩৭০ ধারা রদ করেছে সেই ঐক্য বজায় রাখতেই। দেশের অর্থনৈতিক ঐক্য তৈরি করতে জিএসটির একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। এছাড়াও এক দেশ এক রেশন কার্ডের ব্য়বস্থা হচ্ছে, সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্য বিমা করা হচ্ছে। ওয়ান নেশন, ওয়ান গ্রিডের কথা টেনে এনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে গোটা দেশের মানুষ নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুত্ পরিষেবা পাবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)