জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: শেখ হাসিনা সরকার পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। হামলা হয়েছিল সংখ্যালঘুদের ধর্মস্থানেও। এরকম এক পরিস্থিতিতে এবার পুজোয় সাম্প্রদায়িক হিংসার আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ সরকার। রবিবার বাংলাদেশ সরকার জানিয়ে দিয়েছে পুজোয় যারা ধর্মীয় স্থানে হামলা করবে বা সাম্প্রদায়িক অশান্তির সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্টে আজ আরজি কর মামলার শুনানি, তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই
ধর্ম সংক্রান্ত বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক খালিদ হোসেন বলেন, যদি কেউ পুজো প্যান্ডেলে সম্প্রীতি নষ্ট করে বা কাউকে হেনস্থা করে তাহলে তাদের ছেড়ে কথা বলা হবে না। তাদের কঠোর হাতে দমন করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। গতকাল খালিদ হোসেন রাজশাহীতে একটি মন্দিরে গিয়ে ওই কথা বলেন।
খালিদ হোসেন এদিন হিন্দুদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুজোয় আপনারা নির্ভয়ে আনন্দ করুন। কেউ মন্দিরে হামলা করলে ছেড়ে কথা বলা হবে না। কাউকেই অশান্তি সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। যদি আপনাদের আশঙ্কা হয় যে কেউ আপনাদের মন্দিরে হামলা করবে তাহলে বলব এরকম কিছু করতে দেওয়া হবে না। এলাকার মানুষজন ও মাদ্রাসা ছাত্রদের আমরা মন্দির প্রহরায় নিয়োগ করব। উত্সব পালনে আপনাদের কেউ বাধা দিতে পারবে না।
শনিবার রাজশাহী সার্কিট হাউসে খালিদ হোসেন সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি তাদের সতর্ক করেন, এবার পুজোয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চেষ্টা করবে দুষ্কৃতীরা। এই অপচেষ্টা আমাদের রুখতে হবে। এক্ষেত্রে মাদ্রাসা ছাত্রদের মন্দির প্রহরায় নিয়োগ করা যেতে পারে।
হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের উপরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছিল তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল সংখ্যালঘু সংগঠনগুলি। সেইসময় বাংলাদেশ ন্যাশনাল হিন্দু গ্রান্ড অ্যালায়েন্সের তরফে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের ৪৮ জেলায় ২৭৮ জায়গায় হিন্দুদের উপরে হামলা হয়েছে। এটা হিন্দু সমাজের উপরে হামলা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)