জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘অনেক ঘাপলা আছে’। ভোটার লিস্টের ফর্ম নিয়ে এবার আপত্তি তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘আসলে বাংলাকে টার্গেট করছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের টার্গেট করছে। বাংলার লোককে টার্গেট করছে। কারণ, ওরা ভয় পেয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা না করে নির্বাচন কমিশন এটা করতে পারে না’।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাবা-মায়ের বাার্থ সার্টিফিকেটও দিতে হবে। এটা কী হচ্ছে? অনেক ঘামলা আছে। বিহারে তো বিজেপি সরকার, কিছু করবে না। আর তিন মাস পর ভোট। বিজেপি যা বলবে, ওরা তাই করবে। আমাদের গণতান্ত্রিক দেশ। আমাদের যুক্তরাষ্টীয় কাঠামো। রাজনৈতিক দলগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নির্বাচন কমিশন বলতে পারে না, নতুন করে আবার ভোটার লিস্ট! আগেরবার হরিয়ানা ভোটারকে ঢুকিয়ে দিয়েছে! পঞ্জাবের ভোটারকে ঢুকিয়ে দিয়েছে, রাজস্থানের ভোটারকে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বিজেপি অধ্যুষিত এলাকার ভোটারকে ঢুকিয়ে দিয়েছে’।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আবার নতুন ফরম্যাট এসেছে। সবাইকে বন্ডেড লেবার পেয়েছে! রাজনৈতিক দলগুলি কারও বন্ডেড লেবার নয়, নির্বাচিত সরকার বন্ডেড লেবার নয়’। সঙ্গে অভিযোগ, ‘বিজেপি পার্টি প্রচারকদের দিয়ে এইসব পরিকল্পনা করেছে। ইশারাই যথেষ্ট। কয়েকদিন আগে চিঠি দিয়ে আমাদের বলেছিল, প্রতিটি পার্টি বুথস্তরে এজেন্ট থাকে। তাঁদের তথ্য় দাও. ফোন নম্বর দাও। কেন! আমার পার্টি বুথস্তরে এজেন্ট কে হবে, তার তথ্য আমি তোমায় দেব কেন! দেখার জন্য’!
রাজনৈতিক দলকে মখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘দেখুন, একের এক চিঠি পাঠাচ্ছে কমিশন। এটা ভয়ংকর। গণতন্ত্রের পক্ষে উদ্বেগজনক পরিকল্পনা’। বলেন, ‘যতদূর জানি, এই নির্বাচন কমিশনার অমিত শাহের সচিব ছিলেন। ভুল হলে শুধরে দেবেন। কিন্তু এমন ব্যবহার করতে পারেন না’।