NOW READING:
CJI B.R. Gavai on joining politics of Justice after retirement: বিচারপতিরা অবসরের পরই রাজনীতির আসরে নামলে, জনগণের আস্থার ভিত নড়ে যায়: CJI গাভাই
June 4, 2025

CJI B.R. Gavai on joining politics of Justice after retirement: বিচারপতিরা অবসরের পরই রাজনীতির আসরে নামলে, জনগণের আস্থার ভিত নড়ে যায়: CJI গাভাই

CJI B.R. Gavai on joining politics of Justice after retirement: বিচারপতিরা অবসরের পরই রাজনীতির আসরে নামলে, জনগণের আস্থার ভিত নড়ে যায়: CJI গাভাই
Listen to this article


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এক গোলটেবিল আলোচনার সময় ইউরোপে (Europe), ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই (CJI B.R.Gavai) অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের পদত্যাগ অথবা অবসরের পরপরই নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রবেশের বিষয়ে উদ্বেগ এবং অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অবসরের পর অনেক বিচারপতিই সরকারি পদ গ্রহণ (Government appointments) করেন বা সরাসরি রাজনীতিতে যোগদান (Entering electoral politics) করেন। যা উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই (CJI BR Gavai)। কারণ তাঁর মতে, বিচারপতিদের (Retired judges) এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে জনসাধারণের মধ্যে বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

বিআর গাভাইয়ের বক্তব্য: 

সেখানেই তিনি বলেন, ‘যদি কোনও বিচারপতি অবসর গ্রহণের পরপরই সরকারি পদ গ্রহণ করেন অথবা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে তা উল্লেখযোগ্য নৈতিক উদ্বেগ তৈরি করে। রাজনৈতিক পদের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষতা সম্পর্কে সন্দেহের সৃষ্টি করতে পারে। কারণ এটাকে অনেকেই বিচারপতির আসনে থেকে স্বার্থের সংঘাত বা সরকারের কাছ থেকে আনুকূল্য অর্জনের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখে।’

সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, গাভাই বলেছেন যে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত সমাজে, মননে, রাজনীতিতে সর্বোপরি মানুষের আস্থায় এবং বিশ্বাসে সমস্যা তৈরি করে এবং বিচার বিভাগের প্রতি জনসাধারণের আস্থা নষ্ট করে। সিজেআই গাভাই সতর্ক করে বলেছেন যে অবসর-পরবর্তী এই ভূমিকাগুলি মানুষের মনে এমন ধারণা তৈরি করে যে, এই সিদ্ধান্তগুলি ভবিষ্যতের রাজনৈতিক বা সরকারি সুযোগের দিকে নজর রেখে নেওয়া হয়।

Memari Shocker: ‘চরম কষ্ট দিতে চেয়েছি, তাই ঘুম থেকে তুলে বাবা-মায়ের গলা কেটেছি!’, হুমায়ুন কি সাইকো?

বিচার ব্যবস্থার সততার উপর জনগণের আস্থা হ্রাস

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘অবসর পরবর্তী সময়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বিচার ব্যবস্থার সততার উপর জনগণের আস্থা হ্রাস করতে পারে। কারণ এতে মানুষের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হয় যে, বিচার হওয়া সিদ্ধান্তগুলি ভবিষ্যতে সরকারি নিয়োগ বা রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নেওয়া হয়েছে।’ এরপরই প্রধান বিচারপতি গাভাই জোর দিয়ে জানান, তিনি এবং তাঁর অনেক সহকর্মীই অবসরের পর সরকারি কোনও পদ গ্রহণ না করার প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন। এটিকে তিনি ‘বিচার ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা এবং স্বাধীনতা রক্ষার একটি প্রচেষ্টা’ বলে উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, অবসরের পর বিচারপতিদের সরকারি পদ নেওয়া বা রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে এই ধরনের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এর আগে বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি রঙ্গনাথন মিশ্র, বিচারপতি বাহারুল ইসলাম সহ আরও অনেকেই অবসরের পর রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন।

প্রধান বিচারপতি গাভাই জোর দিয়ে বলেন যে তিনি এবং তার অনেক সহকর্মী “সরকারের কাছ থেকে অবসর-পরবর্তী কোনও ভূমিকা বা পদ গ্রহণ না করার জন্য প্রকাশ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।” তিনি বলেন, এটি ছিল “বিচার বিভাগের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং স্বাধীনতা রক্ষার একটি প্রচেষ্টা।”বিচারকদের অবসর-পরবর্তী পদের জন্য যোগ্য কিনা তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিতর্কের মধ্যে তার মন্তব্য এসেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সুপ্রিম কোর্ট এবং উচ্চ আদালতের বিচারকরা পদত্যাগের পরপরই নির্বাহী শাখার দেওয়া ভূমিকা গ্রহণ করার মাধ্যমে এই উদ্বেগ আরও গভীর হয়েছে।

Justice Yaswant Verma Impeachment: নগদ উদ্ধারের জের! সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে ইমপিচ করার পথে কেন্দ্র…

অবসর-পরবর্তী নিয়োগের দিকে একবার নজর দিন:

বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসর নেওয়ার মাত্র চার মাস পরে ২০২০ সালে রাজ্যসভায় নিযুক্ত হন। অযোধ্যা রায় এবং রাফায়েল চুক্তির মতো হাই-প্রোফাইল মামলায় জড়িত থাকার কারণে তাঁর মনোনয়ন বিতর্কিত হয়েছিল, যেগুলি সরকারের পক্ষে অনুকূল বলে মনে করা হয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্ট থেকে অবসর নেওয়ার ৪০ দিনের মধ্যে বিচারপতি এস. আব্দুল নাজিরকে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। নাজির অযোধ্যা রায় প্রদানকারী এবং নোট বাতিল নীতিকে সমর্থনকারী বেঞ্চের অংশ ছিলেন।

উল্লেখ্য, জাস্টিস অভিজিত গাঙ্গুলি, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়ে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 

 

 

 





Source link