নারায়ণপুর (ছত্তীসগঢ়) : এনকাউন্টারে ৩০ জন মাওবাদীকে নিকেশ করল নিরাপত্তাবাহিনী। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন শীর্ষ মাও নেতা নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসব রাজ। যার মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। মাওবাদী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন বাসব রাজ। যার খোঁজে সারা দেশজুড়ে তল্লাশি চলছিল। ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড তাঁকে নিকেশ করেছে ছত্তীশগঢ়ে। এমনই খবর সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের।
পুলিশ জানিয়েছেন, ছত্তীসগঢ়্রের নারায়ণপুর জেলার জঙ্গলঘেরা অবুজমাঢ় এলাকায় মাওবাদী-বিরোধী বিশাল অভিযান শুরু হয় এদিন। মাওবাদী ও DRG-র জওয়ানদের মধ্যে চলে গুলি বিনিময়। বুধবার সকালে শুরু হওয়া ওই অভিযানে নারায়ণপুর ছাড়াও বিজাপুর ও দান্তেওয়াড়া জেলার DRG-র কর্মীরা ছিলেন। মাওবাদীদের শীর্ষ নেতৃত্বকে ঘিরে ফেলেছিলেন নিরাপত্তাকর্মীরা।
শীর্ষ মাও নেতৃত্ব উপস্থিত রয়েছেন বলে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চার জেলার DRG-র কর্মীরা এদিন তল্লাশি অভিযান শুরু করলে, নিরাপত্তাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তাবাহিনী।
চলতি মাসেই গোড়ার দিকে এনকাউন্টারে খতম করা হয় ২২ জন মাওবাদীকে। ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুর জেলার ঘন জঙ্গলে গুলির লড়াই চলে নিরাপত্তাবাহিনী ও মাওবাদীদের মধ্যে। তেলঙ্গানার সীমান্তবর্তী ওই জেলায় ‘অপারেশ সংকল্প’-তে টানা এনকাউন্টারে নিহত হয় মাওবাদীরা। বিদ্রোহ-বিরোধী বিশাল উদ্যোগে এই সাফল্য বলে জানান এক পুলিশ আধিকারিক। সংবাদ সংস্থা PTI সূত্রের খবর পাওয়া যায়। ওই পুলিশ আধিকারিক জানান, সকালে কারেগুট্টার পাহাড়ি জঙ্গলে আন্তঃজেলা সীমানা বরাবর উভয় পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়। ২২ জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলে।
বস্তার এলাকায় অন্যতম বড় মাওবাদী বিরোধী অভিযান অপারেশন সংকল্প। যে অভিযানে যুক্ত রয়েছেন নিরাপত্তাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের প্রায় ২৪ হাজার নিরাপত্তাকর্মী। ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, বস্তার ফাইটারস, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, রাজ্য পুলিশের সব ইউনিট, CRPF এবং তাদের এলিট ইউনিট CoBRA-র কর্মীরা রয়েছেন এতে।
গত জানুয়ারি মাসেই ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে জওয়ানদের গাড়িতে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণ করা হয়। মাওবাদী হামলায় ৮ জওয়ান-সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মাওবাদী দমন অভিযান থেকে ফেরার পথে হামলা হয় বলে জানা যায়। ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে জওয়ানদের গাড়িতে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মাওবাদী হামলায় ৮ জওয়ান-সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়। মাওবাদী দমন অভিযান সেরেই ফিরছিলেন ওই জওয়ানরা। ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা যায়, কার্যত ধসে যায় রাস্তার একটা বড় অংশ। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে রাস্তার একটা বড় অংশ ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়।
আরও দেখুন