<p><strong>কলকাতা:</strong> আর জি কর মেডিক্য়ালের দুর্নীতি মামলায় আগামী বৃহস্পতিবার চার্জগঠন হবে। তার আগে বুধবার ফের মামলার শুনানি। এদিন, অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, তাঁরা ডিসচার্জ পিটিশন ফাইল করবেন। তার জন্য় সময় দেওয়া হোক। তখন বিচারক স্পষ্টত জানিয়ে দেন, হাইকোর্টের নির্দেশ, ১ সপ্তাহের মধ্য়ে চার্জগঠন করতেই হবে। </p>
<p>আগামী বুধবার, আলিপুরের বিশেষ CBI আদালতে আর জি কর মেডিক্য়ালের দুর্নীতি মামলার ফের শুনানি। বৃহস্পতিবার হবে চার্জ গঠন। তার আগে, শনিবার, আদালতে হাজার হাজার পাতার নথি পেশ করল CBI. যে নথি পেশ করা নিয়েই ২ দিন আগে আদালতে কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। উল্লেখ্য়, আর জি কর মেডিক্য়ালের প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আর জি কর মেডিক্য়ালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সেই দুর্নীতির মামলায় জেলে রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ, হাউস স্টাফ ও TMCP নেতা আশিস পাণ্ডে-সহ পাঁচজন।<br /><br />গত মঙ্গলবারই হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দেন, যত দ্রুত সম্ভব ট্রায়াল অর্থাৎ বিচার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য সিবিআইকে চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য সময়ও বেঁধে দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, আগামী শুনানির এক সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের চেষ্টা করতে হবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতকে। কিন্তু, বৃহস্পতিবার CBI নথি হস্তান্তর করতে না পারায়, রীতিমতো ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। <br /><br />শনিবার, দুপুর ২ টোর মধ্য়েই নথি হস্তান্তর করে দেয় CBI. বিচারকের নির্দেশে, অভিযুক্ত পক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয় কপি। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, তাঁরা ডিসচার্জ পিটিশন ফাইল করবেন। তারজন্য় সময় দেওয়া হোক। তখন বিচারক বলেন, যা করার মঙ্গলবারের মধ্য়ে করুন। কারণ, বুধবার মামলার শুনানি হবে। বৃহস্পতিবার চার্জগঠন। তখন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, মাঝে রবিবার ছুটির দিন, সোমবার সরস্বতী পুজো। আরেকটু সময় দেওয়া হোক। কিন্তু বিচারক স্পষ্টত জানিয়ে দেন, হাইকোর্টের নির্দেশ, ১ সপ্তাহের মধ্য়ে চার্জগঠন করতেই হবে।<u><br /><br /></u>উল্লেখ্য়, গত বছরের ২৯ নভেম্বর আলিপুরের বিশেষ CBI আদালতে যে চার্জশিট পেশ করা হয়, সেখানে ‘দুর্নীতির ত্রিভুজ’-এর মাথা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। এই মামলায় সন্দীপ ঘোষের সঙ্গেই জেলে রয়েছেন হাসপাতালে সরঞ্জাম সরবরাহকারী সংস্থার মালিক বিপ্লব সিংহ এবং সুমন হাজরা। সিবিআইয়ের চার্জশিটে দাবি করা হয়, বিপুল অর্থের বিনিময়ে এই দু’জনকে সাড়ে ৬ কোটির বেশি টাকার বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে, নিয়ম ভেঙে, এই দু’জনের থেকে দ্বিগুণ দামে যন্ত্র কিনেছিলেন তিনি। সূত্রের দাবি, হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে সিবিআই দাবি করেছে, ২০২৪ সালে ইন্টারভিউয়ের নম্বরে কারচুপি করে ২৪ জন অযোগ্যকে, হাউসস্টাফ হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আর এই গোটাটাই হয়েছিল আশিস পাণ্ডের সুপারিশে। এর মধ্যে বেশ কিছু হাউস্ট স্টাফের থেকে প্রতি মাসে তোলাও নিতেন আশিস পাণ্ডে।</p>
<p><strong>আরও পড়ুন: <a title="Sabitra Mitra Car Attack: প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ, মানিকচকের তৃণমূল বিধায়কের গাড়িতে ‘হামলা’" href="https://bengali.abplive.com/district/allegation-of-sabitra-mitra-car-attack-and-attempt-to-death-1118402" target="_self">Sabitra Mitra Car Attack: প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ, মানিকচকের তৃণমূল বিধায়কের গাড়িতে ‘হামলা'</a></strong></p>
Source link
নজরে আর জি কর মেডিক্য়ালের দুর্নীতি মামলা, বৃহস্পতিবার হবে চার্জগঠন
