NOW READING:
যেতে চাইতেন না চিকিৎসকের কাছে, আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে একাধিকবার মেসেজ পাঠিয়েছিলেন চন্দ্রমৌলি!
January 15, 2025

যেতে চাইতেন না চিকিৎসকের কাছে, আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে একাধিকবার মেসেজ পাঠিয়েছিলেন চন্দ্রমৌলি!

যেতে চাইতেন না চিকিৎসকের কাছে, আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে একাধিকবার মেসেজ পাঠিয়েছিলেন চন্দ্রমৌলি!
Listen to this article


কলকাতা: বেসিস্ট চন্দ্রমৌলি বিশ্বাসের মৃত্যুর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মতামতের বন্যা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বারে বারে উঠে এসেছে এই কথা, যে অবসাদে ভুগছিলেন চন্দ্রমৌলি। পাশাপাশি এই অভিযোগও উঠেছে যে তাঁর কাছে মানুষেরাও তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। দীর্ঘদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তাঁর ঝুলন্ত দেহের সঙ্গে মিলেছে সুইসাইড নোটও। পুলিশ সূত্রে খবর, যে সময়ে চন্দ্রমৌলি আত্মহত্যা করেছিলেন, সেই সময়ে তাঁর বাবা-মা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। কিন্তু কেন এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন চন্দ্রমৌলী? জীবন নিয়ে কী হতাশা কাজ করছিল তাঁর? সেই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন রূপম ইসলামের (Rupam Islam)-এত পত্নী রূপসা দাশগুপ্ত (Rupsha Dashgupta)। 

দীর্ঘদিন ধরে ‘ফসিলস’-এর সঙ্গে কাজ করেছেন চন্দ্রমৌলি। তবে ফসিলস ছেড়ে দিয়ে অন্য ব্যান্ডের হয়ে কাজ করলেও ফসিলস-এর সঙ্গে কোনোদিনই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়নি চন্দ্রমৌলির। এর আগে রূপম ইসলাম সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, চন্দ্রমৌলির সঙ্গে হামেশাই কাজ নিয়ে কথা হত তাঁর। একসঙ্গে কাজ করারও কথা ছিল। তবে সেই সমস্ত অধরাই থেকে গেল। সুর থেকে অনেকটা দূরে সরে গেলেন চন্দ্রমৌলি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সদ্য পোস্ট করে রূপসা জানিয়েছেন, তাঁরা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন চন্দ্রমৌলিকে। 

রূপসা জানিয়েছেন, তাঁরা চন্দ্রমৌলির পরিস্থিতির কথা আঁচ করে তাঁকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। রূপসা বলছেন, ‘অনেকেই বলছেন চন্দ্রমৌলির কাছের মানুষেরা কী কী করতে পারতেন সেই নিয়ে অনেক কাটাছেঁড়া চলেছে। অনেকেই বলছেন, তাঁর পরিবারের ,বন্ধুদের অনেক কিছুই নাকি করা উচিত ছিল। আমার বক্তব্য হল, ‘আমরা চেষ্টা করেছি। আমি চেষ্টা করেছি। একটা ব্যান্ড হিসেবে আমরা চেষ্টা করেছিলাম। ভালবেসে ওকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কাজের ক্ষেত্রে যত ধরণের সাহায্য দরকার, সমস্ত রকম সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আমরা চিকিৎসকের কাছে ওঁর যাওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু অ্যাপয়েন্টমেন্ট করার পরেও ও যায়নি। ওর বাবা-মা আর বোন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।’

রূপসা আরও জানিয়েছেন, চন্দ্রমৌলি ব্যান্ড ছাড়ার পরেও তাঁরা প্রত্যাশা করেছিলেন চন্দ্রমৌলি আবার তাঁদের ব্যান্ডে ফিরে আসবে। তাঁর জায়গায় ব্যান্ডে আর কাউকে নেননি তাঁরা দীর্ঘদিন। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরে নতুন সদস্যকে ব্যান্ডে নেন তাঁরা। চন্দ্রমৌলির মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল, তবে তা তিনি এড়িয়ে যেতেন বলেই জানিয়েছেন রূপসা। আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে নাকি বার্তাও পাঠিয়েছিলেন চন্দ্রমৌলি। সেই সময়ে ফসিলস-এর সবাই নাকি চন্দ্রমৌলির বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে, শিল্পীকে বোঝানোর চেষ্টাও করা হয়েছিল। পুলিশ পর্যন্ত খবর দেওয়া হয়েছিল। বারে বারে চেষ্টা করা হয়েছিল চন্দ্রমৌলিকে কাজে ফেরানোর। কিন্তু ফল হয়নি। 

রূপসার প্রশ্ন.. আর কিই বার করতে পারতাম আমরা?

আরও পড়ুন: Basanti Chatterjee: গুরুতর অসুস্থ বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা ভাস্বরের

 

আরও দেখুন



Source link