জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের কি বার্ড ফ্লু বড় আকার নিচ্ছে? না হলে কেন কেন্দ্রীয় সরকার চারটি রাজ্যে বিশেষ পরামর্শদাতার টিম গড়ল? এইচ৫এন১ ভাইরাস বা অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা তথা বার্ড ফ্লুতে অন্তত চারটি রাজ্য আক্রান্ত হয়ে প়ড়েছে। যা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে খোদ প্রশাসনও।
কোন কোন রাজ্যে ধরা পড়েছে বার্ড ফ্লু?
আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: কবে থেকে রাজ্যে বর্ষামঙ্গল? জেনে নিন, ক’দিন চলবে দাবদাহ, ঝড়বৃষ্টিই-বা কবে…
আপাতত চারটি রাজ্য। সেই রাজ্যগুলি হল– অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, কেরালা। অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর জেলায়, মহারাষ্ট্রের নাগপুর জেলায়, ঝাড়খণ্ড রাঁচি জেলায়, কেরালা আলাপ্পুঝা, কোট্টায়াম, পাথানামথিত্ত জেলায়।
এইচ৫এন১ ভাইরাস পাখির দেহ থেকেই মূলত ছড়ায়। তা থেকে সহজেই ছড়ায় মানবদেহেও। তা ক্রমে বিপজ্জনক দিকে চলে যেতে পারে। তবে এই চার রাজ্যের ক্ষেত্রে সেটা যাতে না হয়, সেটাই আগে থেকে দেখে নেওয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে দিয়েছে কেন্দ্র।
গত কয়েক মাস ধরেই ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে বার্ড ফ্লু। এপ্রিলের শেষের দিকে গরুর দুধেও বার্ড ফ্লু ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলার খবর এসেছিল। দুধে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলতেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বিশ্ব জুড়ে যে, তাহলে তা কি মানবদেহেও ছড়িয়ে পড়তে পারে?
তবে, সেটা ভারতে নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেই সময়ে মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, তাদের দেশে পাস্তুরাইজ বা প্রক্রিয়াজাত গরুর দুধে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। হাইলি প্য়াথোজেনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (HPAI) আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশের গরু প্রতিপালন কেন্দ্রে ও বিভিন্ন গোয়ালে ছড়িয়ে পড়েছিল। লক্ষাধিক মুরগির মৃত্যু হয়েছে সেখানে। জানানো হয়েছিল, গরু আক্রান্ত হলেও, সেই অসুস্থতা তখনও তেমন গুরুতর আকার ধারণ করেনি। বার্ড ফ্লু বা এইচ৫এন১ ভাইরাস প্রথম পাওয়া গিয়েছিল ১৯৯৬ সালে। আর এই ২০২৪ সালের মার্চে গরু-ছাগলের দেহেও এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: Punjab Train Accident: দুই মালগাড়ির সংঘর্ষে বড় ধরনের রেল দুর্ঘটনা, আহত দুই লোকো পাইলট…
যদিও এই শান্তি বা উদ্বেগহীনতার মধ্যেও বার্ড ফ্লু নিয়ে চিন্তা বা উদ্বেগের কারণও আছে। কেননা, এক ব্যক্তির শরীরেও এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। যদিও তাঁর উপসর্গ ছিল মৃদু। এবং বিশেষজ্ঞরা জানিয়েও রেখেছিলেন যে, খাবারের মাধ্যমে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমই। তবু কোথাও কোথাও ব়্য মিল্ক বা খাঁটি দুধ নিয়েও নানা প্রডাক্ট তৈরি হয়। যেমন ফ্রান্সে এক ধরনের চিজ বানানো হয় সরাসরি দুধ থেকে। তাই সেসব থেকে এই ফ্লু ছড়িয়ে পড়তেই পারে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)