প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : আর জি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শিয়ালদা আদালতে আরও একটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। শিয়ালদা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মুহূর্তে তিন জনের ফোন কল ডিটেলস নজরে রয়েছে, স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়ে আদালতে জানাল সিবিআই। সিবিআইয়ের বক্তব্য, ৩ জনের সিডিআর ও কল ডিটেলস পরীক্ষা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ২৪ জনের নতুন করে বয়ান রেকর্ড করেছে তদন্তকারী সংস্থা। তদন্ত চলছে বলে আদালতে জানিয়েছে তারা।
বিস্তারিত….
এর আগের দিন শিয়ালদা আদালতে দাঁড়িয়ে অভয়ার মা-বাবা বলেছিলেন, তদন্তের অগ্রগতি কী তা তাঁরা জানেন না। তাঁদের জানানো হচ্ছে না। এমনকী তাঁরা মনে করছেন তদন্ত থমকে আছে। সেদিনই আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেইমতো আজ শিয়ালদা কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছেন সিবিআই অফিসাররা। এর আগে ১২ জন পুলিশকর্মীকে নতুন করে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এই কথাই আজ স্টেটাস রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, নতুন করে ২৪ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তিন জনের কল ডেটা রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়েছে। সিবিআই আধিকারিকরা মনে করছেন, তা থেকে নতুন কোনও তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।
সিবিআই এর আগের দিন জানিয়েছিল, তাদের তদন্ত শেষ হয়ে যায়নি। তারা দ্রুত চার্জশিট জমা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে আজও আদালতে শুনানির সময় হাজির ছিলেন মা-বাবা। সিবিআইয়ের আইনজীবী তখন জানান, তারা স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিচ্ছে। তাতে তদন্তের অগ্রগতির কথা আদালতকে জানানো হয়। তদন্ত চলছে। তথ্য ও প্রমাণ লোপাটের যে অভিযোগ উঠে আসছে সেই তদন্ত শেষ হয়ে যায়নি। নতুন করে ২৪ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তিন জনের কল ডেটা রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন, সিবিআই যে আবার নতুন করে কাজকর্ম শুরু করেছে, তার একটা প্রমাণ আজ কোর্টে রেখেছে। ওরা বলেছে যে তদন্ত করছে। আমরা একটাই কথা বলেছি, তদন্ত করছে ঠিক আছে। কিন্তু, তাড়াতাড়ি রেজাল্ট চাই। জজ সাহেব সব শুনেছেন।
নতুন করে তদন্ত চেয়ে সুুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন অভয়ার মা-বাবা। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে, সর্বোচ্চ আদালতের অনুমতিতে গত সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্টে শুরু হয়েছে শুনানি। প্রথম দিনই আদালতে একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখে পড়েছিল CBI. অভয়াকে কি গণধর্ষণ করা হয়েছিল? যদি তাই হয়, তাহলে বাকি সন্দেহভাজন কারা? এই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ওই দিনই আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন নিহত চিকিৎসকের মা। হাসপাতালে জাল ওষুধ, দুর্নীতির প্রতিবাদ করাতেই তাঁর মেয়েকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আরও দেখুন