কলকাতা: কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে রাজ্য়জুড়ে তোলপাড়। এই প্রেক্ষিতে, ছাত্র ভোট না হওয়া, ইউনিয়নগুলোতে তালা মেরে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তদারকি ২ ডেপুটি রেজিস্ট্রারের। ইতিমধ্যেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ ইউনিয়ন রুম।
আরও পড়ুন, হাইকোর্টের দ্বারস্থ তামান্নার মা, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করুন, কেন আমাকে এতদূর আসতে হয়েছে ?’
আজ বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র বেঞ্চ নির্দেশ দিল, যেখানে ছাত্র ভোট হয়নি, সেখানেই ইউনিয়ন রুম বন্ধ রাখতে হবে। হাইকোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অনুমতি ছাড়া ছাত্র সংসদের ঘর খোলা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অনুমতি ছাড়া ছাত্র সংসদের ঘর খোলা যাবে না। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে হাতিয়ার করে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা।
অবৈধ ইউনিয়ন রুমগুলোর মাধ্যমেই ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে অপরাধচক্র। কটাক্ষ SFI-এর রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে-র। ইউনিয়ন রুমে তৃণমূলের স্বঘোষিত ছাত্র নেতারা, তাঁরা দাদাগিরি করছে, পয়সা কামাচ্ছে। যদিও TMCP -র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যর দাবি – ইউনিয়ন রুম কখনও রাজনৈতিক দলের হয় না। একটা ইউনিয়ন রুম একটা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হয় এবং সেটা তারাই নিয়ন্ত্রণ করে। আর এই প্রেক্ষাপটেই আদালতের নির্দেশের পর পাটুলির কে কে দাস কলেজে ইউনিয়ন রুম বন্ধ করে দেওয়া হল।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলিতে সে কাজ আগেই করা হয়েছে বলে জানালেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। তাঁর কথায়, ‘আমরা আগেই করেছি। আমাদের আইনজীবী ছিল, বাকি কলেজগুলো কী করছে, হাইকোর্টে অর্ডার দিয়েছে। শতাধিক কলেজগুলো কী করছে।’