অর্ণবাংশু নিয়োগী: আরজিকর কাণ্ডে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য। মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা কীভাবে বলা হল? জানতে চান প্রধান বিচারপতি। একইসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, ডাক্তারদের কথা শুনতে হবে। আরও বলেন যে, প্রিন্সিপ্যালের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার এবং পদত্যাগ লেটার আজকের মধ্যে জমা দিতে হবে। তিনি পদত্যাগ পত্রে কী লিখেছেন তা দেখা দরকার। আদালতের কাছে কেস ডায়েরিও জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির।
এদিন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় আরজিকরের নির্যাতিতার পরিবার। আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্ত চায় পরিবার। মৃতার পরিবার অভিযোগ করে, “আমার মেয়ে মারা গিয়েছে অনেক পরে। প্রথমে বলে আত্মহত্যা করেছে। আমরা হাসপাতালে গিয়েছি। ৩ ঘণ্টা আমাদের মেয়েকে দেখতে দেয়নি।” পরিবারের দাবি মেনে তাঁদের আবেদন গ্রহণ করে আদালত। এরপর এদিন সওয়াল জবাবের সময় পরিবারের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, যা রিপোর্ট তাতে একজনের পক্ষে সম্ভব নয়, আরও কেউ থাকতে পারে। পরিবারও মনে করে এখানে আরও কেউ থাকতে পারে।
বিকাশবাবু আদালতকে আরও জানান যে, পরিবারের কাছে একটা ফোন আসে। বলা হয় মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। যার প্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “এটা ঠিক, কেউ বলেছে পরিবারকে যে মেয়েকে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু মৃত্যুর কারণ আত্নহত্যা কীভাবে বলা হল?” যার জবাবে রাজ্যের তরফে বলা হয়, “এটা কে বলেছে জানি না। আমিও শুনেছি। তবে পুলিস বলেনি। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছে সেটা আমাদের দেওয়া হোক।”
আরজিকর কাণ্ডে এদিন আদালতে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বিল্যদল ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, মৃতের শরীরে অনেক জায়গা থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। অর্ধনগ্ন দেহ ছিল। সেখানে একটা অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা করে আত্মহত্যা বলা হচ্ছিল। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। সিবিআই -কে দেওয়া উচিত। সিভিক পুলিসের পক্ষে এটা একা করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন, RG Kar Ex Principal Sandip Ghosh: সকালে ইস্তফা, বিকেলেই বহাল! সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়…
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)