সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: জয়ন্ত সিংহের বাড়ি ভাঙার জন্য ৮ সপ্তাহ সময় বৃদ্ধির আবেদন করল কামারহাটি পুরসভা। বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের দ্বারস্থ হয়ে কামারহাটি পুরসভার আবেদন, ৪ সপ্তাহের পরিবর্তে ৮ সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক।
বৃদ্ধির আবেদন কামারহাটি পুরসভার: আড়িয়াদহের ত্রাস তৃণমূলকর্মী জয়ন্ত সিংয়ের সঙ্গে তৃণমূলের একাধিক নেতার ছবি আগেই সামনে এসেছিল। কামারহাটির প্রতাপ রুদ্র লেনের উপর এই হল তৃণমূলকর্মী জয়ন্ত সিংহের দুধসাদা অট্টালিকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই বেআইনি বাড়ি নিয়ে পুরসভার কাছে ছিল না কোনও রেকর্ড। পরবর্তীতে, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাছ থেকে পাওয়া রেকর্ডে দেখা যায়, জমিটি দিলীপ মুখোপাধ্য়ায় নামে এক ব্য়ক্তির নামে রয়েছে। যদিও, পরবর্তীকালে সেই দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তৃণমূলকর্মী জয়ন্ত সিংয়ের বাড়ির ছবি সামনে আসার পরই প্রশ্ন উঠেছিল, এই বাড়ি যখন তৈরি হচ্ছিল, তখন পুরসভা কী করছিল? গত মঙ্গলবার আড়িয়াদহের ত্রাস জয়ন্ত সিংহের বেআইনি সাদা অট্টালিকা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এবার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানাল কামারহাটি পুরসভা। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত বলেন, “এক মাসের মধ্যে অনেক কিছু করা যায়, অন্ততপক্ষে ২টি তলা ভাঙুন। তারপরে এসে সময় চান, নিশ্চয় বাড়িয়ে দেব। এমন পদক্ষেপ নিন, যাতে আমরা বুঝতে পারি আপনাদের কাজ করার সদিচ্ছা রয়েছে।”
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত সোমবার কঠোর ভাষায় বলেন, আমরা এখানে বসে আছি বলে, আমাদের যেন অন্ধ মনে করা না হয়। আমরা জানি কোথায় কী হচ্ছে। বিগত ৫ বছর ধরে, যে সকল পুরসভার আধিকারিকরা ওই অঞ্চলে কাজ করছেন, তাদের সবাইকে জেলে পাঠানো হবে। তাহলে যদি পুরসভার মনে কিছুটা ভয় হয়।” এই বাড়ি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে পুরসভার আইনজীবী বলেন, “এখন ১৯৭৬ সালের একটি প্ল্যান দেখিয়ে বলা হচ্ছে যে, এটাই আসল বৈধ প্ল্যান। আমাদের কাছে অত পুরনো নথি নেই।” বিচারপতি তখন বলেন, “আপনাদের মনে হচ্ছে, এটা ১৯৭৬ সালের প্ল্যান অনুযায়ী তৈরি হওয়া বাড়ি? বৈধ অনুমোদন না থাকলে ভেঙে ফেলা হোক বাড়ি। বাড়ি ভেঙে খেলার মাঠ করে দেওয়া হোক।”
আরও দেখুন