RG Kar-এ নিহত চিকিৎসকের পরিবারের মামলায় এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ নয়, জানালেন বিচারপতি; কী যুক্তি

Estimated read time 1 min read
Listen to this article


সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : আর জি করকাণ্ডে নিহত চিকিৎসকের পরিবারের মামলায় এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করলেন না বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ‘এই মামলা ডিভিশন বেঞ্চ এবং সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন আছে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নজরদারি করছে। এই মুহূর্তে তাঁর পক্ষে এই মামলা গ্রহণ করা সম্ভব নয়’, বলে জানালেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। চিকিৎসকের পরিবারকে বিচারপতি জানান, ‘আপনারা প্রধান বিচারপতির কাছে যান। তিনি যদি আমাকে এই মামলা শুনতে বলেন তাহলে আমি শুনব। তার আগে আমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়।’ অর্থাৎ, প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে ছাড়পত্র পেলে তবেই তিনি এই মামলার বিচারপর্ব এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। বিচারবিভাগীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ১৫ জানুয়ারি এই মামলায় পরবর্তী শুনানির সম্ভবনা।

কেন তড়িঘড়ি শেষকৃত্য় করা হল ? নিহত চিকিৎসকের বাবা দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চাওয়া সত্ত্বেও, কেন তা ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করা হল ? মৃতদেহ উদ্ধারের দীর্ঘক্ষণ পর কেন মৃত ঘোষণা করা হয় ? তাহলে চিকিৎসককে যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন কি তিনি বেঁচে ছিলেন ? ইচ্ছাকৃতভাবেই কি তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়নি ? এমনই ৪২টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে, নতুন করে তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আর জি কর মেডিক্য়ালের নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। 

তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, ক্রাইম সিনে (ঘটনাস্থলে) ধস্তাধস্তির চিহ্ন মেলেনি। তবে, কি ঘটনার পর ঘটনাস্থল সাজানো হয়েছিল ? ময়নাতদন্তে নৃশংসভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু, ধস্তাধস্তির কোনও শারীরিক প্রমাণ মেলেনি। ক্রাইম সিনকে ভুল পথে চালিত করতে ও ঘটনা পরম্পরা যাতে বোঝা না যায় তাই কি একাজ করা হয়ে থাকতে পারে? আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ কেন থানায় এফআইআর দায়ের করলেন না তা খুঁটিয়ে দেখা দরকার। ওই দিন রাতে সন্দীপ ঘোষের টাওয়ার লোকেশন দেখা উচিত। তিনি কোথায় ছিলেন, কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন ? 

CBI ৯০ দিনে চার্জশিট দিতে ব্য়র্থ হওয়ায় ধর্ষণ-খুনের মামলায় জামিন পেয়ে গেছেন সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এই প্রেক্ষাপটে চূড়ান্ত হতাশ আর জি কর মেডিক্য়ালের নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। নতুন করে তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবার প্রশ্ন তুলেছে, কেন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ? কেন ৮ অগস্ট রাত ১১টার পর থেকে সিসিটিভি ফুটেজ CBI-কে দেওয়া হল না ?

নতুন করে তদন্তের আবেদন জানিয়ে নিহত চিকিৎসকের পরিবার এই প্রশ্নও তুলেছে, কেন স্থানীয় বিধায়ক এবং কাউন্সিলরের নজরদারিতে তড়িঘড়ি মৃতদেহ সৎকার করা হয়েছিল? নিহত চিকিৎসকের মোবাইল ফোনের ফ্রিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা কি করা হয়েছে? 

আরও দেখুন



Source link

JagoronBarta http://www.jagoronbarta.com

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours