সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : ‘আর্থিক তছরুপ বা দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও কোনও প্রকল্প অনন্তকাল আটকে রাখা যায় না।’ ১০০ দিনের প্রকল্প সংক্রান্ত মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারীর মামলায় এই মন্তব্য আদালতের। ‘দুর্নীতির তদন্তে এখনও পর্যন্ত যে টাকা উদ্ধার সম্ভব হয়েছে, সেটা কীভাবে ব্যবহার করা হবে?’ তা জানাতে হবে কেন্দ্রকে, এমনই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। দুর্নীতি যাতে প্রতিরোধ করা যায় তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে ? তা জানাতে হবে কেন্দ্রকে, নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
বিস্তারিত…
কেন্দ্রের কাছে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর বক্তব্য, গোটা বিষয়টায় একটা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে কোনও সংস্থার প্রাথমিক যে কাজ থাকে, সেটা রাজ্যের সংস্থা হতে পারে, তারা বিষয়টার অনুসন্ধান করতে পারে। তা করার পরে তারা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু, এই ধরনের প্রকল্পের কাজ অনন্তকাল বন্ধ করে রাখা যায় না। এই মর্মে মত ব্যক্ত করেছেন প্রধান বিচারপতি। কেন্দ্রের কাছে উত্তর চেয়েছেন, অবিলম্বে এই ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে আরম্ভ করার ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব, সেই প্রশ্নের উত্তর তিনি কেন্দ্রের কাছে চেয়েছেন। প্রধান বিচারপতি আরও বলেছেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই একটি কেন্দ্রীয় টিম গঠন করা হয়েছিল, সেই টিম প্রাথমিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের চারটি জেলার ক্ষেত্রে অনুসন্ধান করেছে এবং বলেছে, এই জেলাগুলির ক্ষেত্রে যে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছিল, সেগুলির ক্ষেত্রে কী কী করা সম্ভব। ইতিমধ্যেই দুর্নীতির বেশ কিছু টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই চারটি জেলাকে বাদ দিয়ে, পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলায় এই প্রকল্প কবে কীভাবে শুরু করা যায়, সেই প্রশ্নের উত্তর কেন্দ্রের কাছে চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এর পাশাপাশি যে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে সেই টাকা কীভাবে ব্যবহার করা সম্ভব সেই প্রশ্নের উত্তরও তিনি কেন্দ্রের কাছে চেয়েছেন। সবমিলিয়ে, এরাজ্যের তরফে বারবার যে অভিযোগ করা হচ্ছে, ১০০ দিনের প্রকল্পের কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না বা কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে, সেটা নিয়ে আজ প্রধান বিচারপতির যে প্রশ্ন এবং পর্যবেক্ষণ এবং কেন্দ্রের কাছে যে উত্তর চেয়েছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও দেখুন