জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘আর কোনও উপায় ছিল না’। ঋণের দায়ে শেষ হয়ে গেল আরও একটি পরিবার! খাল থেকে উদ্ধার হল স্বামী-স্ত্রী ও তাঁদের সন্ধানের দেহ। এবার গুজরাত।
আরও পড়ুন: Bengaluru Shocker: ঘনঘন সেক্স চাই, ২৪-এর তরুণের খিদে না মেটাতে পারায় ১৭ বার কোপ খেলেন ৩৩-এর প্রেমিকা…
পুলিস সূত্রে খবর, গুজরাতের মেহসানা জেলার কাদি শহরের বাসিন্দা ধর্মেশ পাঞ্চাল। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। ১০ বছর ধরে ছোটখাটো একটি ব্যবসা করছিলেন ধর্মেশ। কিন্তু হঠাত্ ব্যবসায় মন্দার কারণে বিপাকে পড়েন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায়, যে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হন ওই ব্যবসায়ী। এরপরই থেকে শুরু হয় সমস্য়া।
নর্মদা খালে পাওয়া গিয়েছে ধর্মেশ, তাঁর স্ত্রী উর্মিলা ও ওই দম্পতির ছেলের দেহ। সঙ্গে একটি সুইসাইড নোটও। তাতে ধর্মেশ লিখেছেন, আমারও বাঁচার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু কিছু লোক আমার জীবন শেষ করে দিল। তাঁরা আমার পরিস্থিতি সুযোগ নিয়েছে। আমার থেকে সুদ নিয়েছে। কিন্তু তারপরেও আমাকে হুমকি দিয়েছে, অত্যাচার করেছে। তাই আমার কাছে মরা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না’। মৃতের বাবার দাবি, প্রায় ১০ বছর থেকে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে আলাদা থাকতেন ধর্মেশ। দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
এর আগে, কেরলের ভাক্কাম শহরে একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বছর পঞ্চান্নের অনিল কুমার ও তাঁর স্ত্রী শ্রীজার দেহ। সঙ্গে তাঁদের দুই সন্তানেরও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন অনিল। সেকারণেই সম্ভবত সপরিবারে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
এদিকে ২০ কোটির ঋণের বোঝা নিয়ে কার্যত পালিয়েই বেড়াচ্ছিল পঞ্চকুলার মিত্তলরা। শেষে গাড়িতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন পরিবারের ৬ জন। গাড়ির বাইরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পরিবারের কর্তা, ৪২ বছর বয়সি প্রবীণ মিত্তল। তাদের মামাতো ভাই সংবাদমাধ্যমকে জানান, ব্যবসায় লোকসানের জেরে প্রায় ২০ কোটি টাকার ঋণে জড়িয়ে পড়ে পরিবারটি। যার জেরেই এই ঘটনা।
আরও পড়ুন: India’s Brahmastra: পরমাণু বোমার চেয়ে ১০০০ গুণ ভয়ংকর! ভারতের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এ পলকে ধ্বংস হবে পাকিস্তান
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)