NOW READING:
ব্রিটানিয়ার বিস্কিটে জীবন্ত পোকা, ১.৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করল ক্রেতা আদালত
July 3, 2025

ব্রিটানিয়ার বিস্কিটে জীবন্ত পোকা, ১.৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করল ক্রেতা আদালত

ব্রিটানিয়ার বিস্কিটে জীবন্ত পোকা, ১.৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করল ক্রেতা আদালত
Listen to this article


 

Live Worm In Biscuit : ব্রিটানিয়ার বিস্কিটের (Britannia Biscuit Contro) প্যাকেটে পাওয়া গেল জীবন্ত পোকা। এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে সামনে আসে এই খবর। পরে অভিযোগকারীর বয়ানের সঙ্গে সহমত পোষণ করে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত (Consumer court)। মুম্বইতে এই ঘটনার জন্য ব্রিটানিয়া কোম্পানি ও কেমিস্ট শপকে যৌথভাবে ১.৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

জরিমানার পাশাপাশি মামলার খরচও দিতে হবে মহিলাকে
দক্ষিণ মুম্বাইয়ের জেলা উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গত ২৭ জুন এই নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশে ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও চার্চগেটের সেই কেমিস্ট শপকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। ঘটনার উৎপত্তি ২০১৯ সালে, যখন মহিলা ওই বিস্কুটের প্যাকেট কেনেন। যেখানে জীবন্ত পোকা দেখে অবাক হন তিনি।

পরে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে অভিযোগ করতেই হাতেনাতে ফল পান।  যে কারণে আদালত দেড় লক্ষ টাকার পাশাপাশি ওই মহিলাকে মামলার খরচ বাবদ ২৫,০০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, “দূষিত বিস্কুট বিক্রি খাদ্য সুরক্ষা আইন ও উপভোক্তা সুরক্ষা আইনের অধীনে উপভোক্তাদের বিশ্বাস ও আইনগত কর্তব্যের গুরুতর লঙ্ঘন।”

Live Worm In Biscuit : বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছিল মহিলার
মীরা রোডের বাসিন্দা ওই মহিলা উপভোক্তা সুরক্ষা আইনের অধীনে অভিযোগ নিয়ে কমিশনের কাছে গিয়েছিলেন। যেখানে তিনি জানান, চার্চগেট স্টেশনের কেমিস্ট দোকান থেকে গুড ডে বিস্কুটের প্যাকেট কিনেছিলেন তিনি।

বিস্কুটের মধ্যে বাইরের জিনিস নজরে আসে
 কমিশনকে তিনি বলেন, কয়েকটি বিস্কুট খাওয়ার পর তিনি একটি বিস্কুটে জীবন্ত কৃমি দেখতে পান। যার ফলে বমি বমি ভাব ও মানসিক স্থিতি বিগড়ে যায় তার। তিনি বিস্কুটটি রেখে দেন ও বৃহন্নুম্বাই পুর কর্পোরেশন (BMC) এর খাদ্য পরীক্ষাগারে যান। ২০১৯ সালের অগাস্টে এই পরীক্ষা রিপোর্টে বাইরের পদার্থের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। এরপরই ওই মহিলা প্রস্তুতকারককে আইনি নোটিশ দেন। কিন্তু তাতে কোনও ক্ষতিপূরণ পাননি, যার পরে তিনি কমিশনের কাছে যান।

কী বলছে কোম্পানি
ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ এই অভিযোগের দায় অস্বীকার করে বলেছে-অভিযোগকারী এই বিষয়ে মোড়ক বা ব্যাচ নম্বর তাদের কাছে জমা দেননি। কোম্পানি তাদের পণ্য় তৈরির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখেই কাজ করে। কেমিস্ট শপ অশোক এম শাহও কোনও অভিযোগ পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, তারা কেবল প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে সিল করা পণ্য বিক্রি করেন।

 



Source link