কলকাতা : পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটে বাজিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় NIA তদন্ত দাবি। বিস্ফোরণে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিস্ফোরণকাণ্ডে NIA তদন্ত চেয়ে অমিত শাহের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। কীভাবে ৮ জনের প্রাণ কাড়ল বাজি ? প্রায় একদিন পরেও সেই রহস্য জারি রয়েছে। গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে বাজিতে আগুন, নাকি বাজিতে আগেই বিস্ফোরণ ? এখনও স্পষ্ট জানাতে পারল না পুলিশ। এদিকে ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যে পৌঁছেছে ফরেন্সিক এক্সপার্টের দল।
ঘটনার আপডেট-
এগরা, দত্তপুকুর, মহেশতলা, কল্যাণীর পর ফের প্রাণ কাড়ল বাজি। পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটে বাড়িতে মজুত বাজিতে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের ৩ শিশু-সহ ৮ জনের। মৃতদের মধ্যে ৬ মাসের দুই শিশু, ৬ বছরের এক শিশুকন্যা, ৯ বছরের এক বালক ও ৮০ বছরের বৃদ্ধা রয়েছেন। শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় এক মহিলাকে SSKM-এ স্থানান্তরিত করা হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। বাজির ব্যবসা করতেন দুই ভাই চন্দ্রকান্ত বণিক ও তাঁর ভাই তুষার। বিস্ফোরণের সময় তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না। দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারা এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্টে মামলা রুজু করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনার পর বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে ৬৮ কেজি বাজির মশলা বেআইনিভাবে মজুতের অভিযোগে ঢোলাহাট থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন চন্দ্রকান্ত বণিক। জামিন পাওয়ার পর তাঁর বাজির ব্যবসা আরও ফুলে-ফেঁপে ওঠে। সরকারি লাইসেন্স পাওয়ার পর বাজির কারবারে রমরমা বাড়ে। বাধা দেওয়া তো দূরের কথা, পুলিশ এসে টাকা নিয়ে যেত বলে দাবি করেছেন চন্দ্রকান্ত বণিকের খুড়তুতো ভাই অরিন্দম বণিক। স্থানীয়দের দাবি, বাজি তৈরি বা মজুত করার ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হচ্ছে না দেখেও চোখ বন্ধ করে ছিল পুলিশ। বেআইনি বাজি কারবারে মদত দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ককেও কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের আরও দাবি, বছর দশেক ধরে বাজির কারবার চলছিল। আশঙ্কার কথা জানালেও কেউ কর্ণপাত করেনি। গতকাল আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায়, আশেপাশের বাসিন্দারা নিজেদের গ্যাস সিলিন্ডারগুলি এনে পুকুরে ফেলে দেন। রাতে ঘটনাস্থলে যান পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা। তাঁর দাবি, বাজি কারখানার লাইসেন্স ছিল। ভিন্নমত স্থানীয়দের। এলাকাবাসীর দাবি, বণিক পরিবারের কারখানায় নিয়ম মেনে বাজি তৈরি করা হত না।
আরও দেখুন