কলকাতা : দিলীপ ঘোষের সস্ত্রীক জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু চর্চা। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির এই পদক্ষেপ নিয়ে এবার দলের মধ্যেই বিরোধিতা। ‘কোনও ব্যক্তি কী করবেন, কী করবেন না, কী বলবেন, কী বলবেন না…সেসব উত্তর আমি দেব না’, বলে আগেই নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার সোশাল মিডিয়ায় সরব হলেন সৌমিত্র খাঁও।
একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “একজন “ত্যাগী” থেকে কীভাবে “ভোগী” হতে হয় তার আদর্শ নিদর্শন আপনি Dilip babu। বাবুল সুপ্রিয় থেকে মুকুল রায়, এঁদের তাড়িয়ে আজ নিজেই তাঁদের পথ অনুসরণ করছেন। কতটা নির্লজ্জ হলে এমন “আদর্শবান পুরুষ” হওয়া যায় তা চিন্তার বিষয় ! বাংলার বিজেপির লজ্জা আপনি।”
পূর্ব মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে এদিন দিঘার মন্দিরে জগন্নাথ দেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার এদিনই, মুর্শিদাবাদে অশান্তিতে নষ্ট হয়ে যাওয়া ৯টি মন্দির পুনর্নির্মাণের কাজের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেটাও, এই পূর্ব মেদিনীপুরে দাঁড়িয়েই। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিনই, আদালতের অনুমতিতে কাঁথিতে আয়োজন করা হল সনাতনী সমাবেশের। এরকম একটা পরিস্থিতিতে সস্ত্রীক জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন দিলীপের।
স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দিঘার নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরে পৌঁছে যান দিলীপ। সেখানে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় হয়। উত্তরীয় পরিয়ে দিলীপকে স্বাগত জানান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। উদ্বোধনের দিনই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে দিলীপের পদার্পণ রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জল্পনা বাড়িয়ে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। প্রসঙ্গত, আজ একটা সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিল, মুখ্যমন্ত্রী আজই কলকাতা ফিরে আসতে পারেন। অথচ দিঘা থেকে তাঁরা ফেরার কথা ছিল কাল। কিন্তু, সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিল আজই ফেরার। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, তিনি আজ থাকবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করার পর তিনি দিঘায় যেখানে রয়েছেন সেখানে ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু, অদ্ভুতভাবে দেখা গেল, দিলীপ ঘোষ যখন দিঘা গেট ক্রস করেছেন, তার ঠিক কয়েক সেকেন্ড আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় হঠাৎ বেরোল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তখন জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কোথায় যাচ্ছেন ? তিনি জানান, জগন্নাথ মন্দিরে আর একবার ঢুকবেন। ঠিক তখনই মেন গেট দিয়ে ঢুকলেন দিলীপ ঘোষ। এই পরিস্থিতিতে অপেক্ষা ছিল, কখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দেখা হয়। এটা কাকতলীয় ব্যাপার নয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও দেখুন