NOW READING:
‘CBI-এর উদ্ধার করা মাদারডিস্ক পাবলিশ করুন’, চাকরিহারাদের জন্য মমতাকে আবেদন অভিজিতের
April 6, 2025

‘CBI-এর উদ্ধার করা মাদারডিস্ক পাবলিশ করুন’, চাকরিহারাদের জন্য মমতাকে আবেদন অভিজিতের

‘CBI-এর উদ্ধার করা মাদারডিস্ক পাবলিশ করুন’, চাকরিহারাদের জন্য মমতাকে আবেদন অভিজিতের
Listen to this article


কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। কলমের এক আঁচড়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে। রবিবার রামনবমীর ঘিরে গোটা রাজ্যে যখন উৎসবের আমেজ, সেই সময় শহরের রাস্তায় হাহাকার চাকরিহারাদের। চাকরি ফিরে না পেলে গণ-আত্মহত্যার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। আর সেই আবহে ফের মুখ খুললেন, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা অধুনা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যোগ্যদের চাকরি বাঁচানো সম্ভব বলে জানালেন আবারও। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানালেন। 

রবিবার শহিদ মিনার থেকে চাকরিহারারা সাংবাদিক বৈঠক করেন। এর পর এবিপি আনন্দে মুখ খোলেন অভিজিৎ। তিনি বলেন, “তিনদিন আগে লোকসভায় যে কথা বসেছিলাম, আজ কলকাতায় ফিরে দেখছি, সেই প্রস্তাব যথেষ্ট স্বচ্ছ। আজ পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে কোনও সাড়া পাইনি। তাই রাজনীতি না করে, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিদি বলে সম্বোধন করে বলব, ‘একটা কাজ করুন। সৎ ভাবে যে ছেলেমেয়েরা চাকরি পেয়েছিল, তারা মরতে বসেছে।”

সুপ্রিম কোর্ট ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি বাতিল করলেও, যোগ্য-অযোগ্যের মধ্যে পৃথকীকরণ সম্ভব হয়নি বলে জানালেও, তিন দিন আগে অভিজিৎ জানিয়েছিলেন, যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব। রবিবার ফের সেকথার পুনরাবৃত্তি করলেন তিনি। কী করে সম্ভব, এদিন তাও বাতলে দেন অভিজিৎ। বলেন, “যেটা করতে বলছি, তা হল, CBI যে মাদারডিস্ক উদ্ধার করেছিল, সেখানে সব OMR শিট রয়েছে। সেগুলো পাবলিশ করে দিন।”

CBI-এর উদ্ধার করা মাদারডিস্কের সত্যতা স্কুল সার্ভিস কমিশন অস্বীকার করেনি, তাই সেটা প্রকাশ করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মত অভিজিতের। তাঁর কথায়, “SSC বলেছে, CBI যেটা উদ্ধার করেছে, তা খারিজ করছে না তারা। এটুকুই বলেছে। SSC বলুক, ওই OMR শিটগুলিই আসল ছবি এবং সেগুলো প্রকাশ করুক। সেটা থেকেই বোঝা যাবে, বিপুল সংখ্যক প্রার্থী সাদা খাতা জমা দিয়েছে, ভুল লিখে নম্বর কারা পেয়েছে, সব বুঝে নেওয়া সম্ভব।”

কিন্তু মাদারডিস্ক-কে সামনে রেখে যদি যোগ্য-আযোগ্য বাছা যায়, তাহলে কেন তা তুলে ধরা হল না আদালতে? আইনজীবীরা কি জানতেন না? SSC এবং আদালত কি অবগত ছিল না?

অভিজিতের বক্তব্য, “আইনজীবীরা অবগত ছিলেন, আদালতকে জানিয়েওছিলেন। কিন্তু এতে সবসময়… বিতর্কিত শব্দ ব্যবহার করব না বলেই বলছি। যে কোনও কারণেই হোক হয়নি। আজ আমাদের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে, বাচ্চা ছেলেগুলোর স্বার্থ দেখতে হবে আমাদের, তারা যে বিপাকে পড়েছে, তা থেকে উদ্ধার করতে হবে। সেই জন্য বলছি, এখনও করা সম্ভব। যে কোনও কারণেই হোক আগে হয়নি। SSC কিন্তু CBI-এর উদ্ধার করা ওটা মেনে নিয়েছিল। শুধু গ্রহণ করেছে বলেনি। অস্বীকার করেনি ওরা। ওটা প্রকাশ করলেই অনেক জিনিস পাওয়া যাবে।”

কিন্তু CBI-এর উদ্ধার করা মাদারডিস্ক সুপ্রিম কোর্টের গোচরে যদি আনা যেত, তাহলে আদালত নিশ্চয়ই সদর্থক পদক্ষেপ করত? এতজনের চাকরি নিশ্চয়ই বাতিল হতো না?

অভিজিতের কথায়, “বিতর্কে ঢুকব না। তাহলে নতুন করে দোষারোপের পালা শুরু হবে। ফের দোষারোপের পালাগান শুরু করতে চাই না। দিদি, আপনি পাবলিশ করার নির্দেশ দিন। তাহলেই দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে। তাহলে যে নতুন করে পরীক্ষায় বসতে বলা হচ্ছে, যারা জেনুইন, তাদের পরীক্ষায় বসতে হবে না।”

আরও দেখুন



Source link