কলকাতা : কী হবে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর ? গতকাল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর রাজ্যজুড়ে সমানে চলছে কাটাছেঁড়া। এই পরিস্থিতিতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ও বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মতে, “আমি যতদূর বুঝেছি, যাঁরা জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁরা সত্যি সত্যি সৎভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি করতে এসে …তাঁদের আলাদা করা আজও সম্ভব।” শুধু তা-ই নয়, চাকরিহারাদের বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কমিটি গঠনের আবেদনও জানালেন তিনি।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁকে আজ আমি দিদি বলেই সম্বোধন করব। যেহেতু, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে বলছি। দিদি এই মুহূর্তে যেন একটি কমিটি গঠন করেন। কেন করবেন ? আমি মনে করি, আমি যতদূর জানি, আমি যতদূর বুঝেছি, যাঁরা জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁরা সত্যি সত্যি সৎভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি করতে এসে …তাঁদের আলাদা করা আজও সম্ভব। আমি কাউকে দোষারোপের প্রশ্নে যাব না আজ। আজ যাওয়ার সময় নয়। এই যে ছেলেগুলোর ভাগ্যে বিপর্যয় নেমে এসেছে, এখান থেকে ওঁদের উদ্ধার করতেই হবে। আমরা ওঁদের চেয়ে বয়সে অনেক বড়। আমি বলব, একটি কমিটি গঠন করুন। যাঁর মাথায় চেয়ারম্যান হিসাবে শিক্ষামন্ত্রী থাকতে পারেন, যেখানে অ্যাডভোকেট জেনারেল থাকতে পারেন। যেখানে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য থাকতে পারেন। যেখানে আমি থাকতে পারি এবং যাঁরা মূল মামলাগুলি করেছিলেন সেই সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, বিক্রম ব্যানার্জি এবং ফিরদৌস শামিম..এঁরা থাকতে পারেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্য়ান এবং তাদের আইনজীবী থাকতে পারেন। এটা করে যদি আমরা আলোচনা করে এবং ওগুলো বের করে যদি আমরা একটা তালিকা তৈরি করতে পারি, যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্তভাবে চাকরি পেয়েছেন …আমি আজ আবার বলছি, আজ কাউকে দোষ দিতে চাই না। এসব দোষ-গুণের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের কাজগুলো করতে হবে। ২৬ হাজার ছেলেদের বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করতে হবে। আমরা লিস্টটা তৈরি করে ফেলতে পারব বলে আমি আজও মনে করি।”
তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে অবশ্য তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “আমি ওঁর কথার জবাব দিতে চাই না। বিচারপতি হিসাবে পদত্যাগ করে বিজেপির প্রার্থী হয়ে লোকসভায় নির্বাচিত হয়ে…তিনি এ সম্পর্কে যত কম কথা বলেন ততই ভালো।”
আরও দেখুন