কলকাতা : তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় গোটা শহর শিউরে উঠেছিল। আর জি কর ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছিল গোটা শহর। প্রতিবাদের আঁচ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কসবা কলেজের ঘটনা। যেখানে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ফের উত্তাল গোটা রাজ্য। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সবুজ সংকেত নিয়ে কর্মসূচি করল বিজেপি। কসবা ল’কলেজের সামনে প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখার সময় অভয়া-প্রসঙ্গ তুললেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বললেন, “৫ তারিখে পানিহাটিতে উল্টোরথে যাব। ওইদিন আমি অনুমতি নিয়ে অভয়ার বাবা-মার কাছে যাব। আর বাবাকে বলব, পতাকা ছাড়া ৯ অগাস্ট অভয়ার ধর্ষণ-খুনের বর্ষপূর্তিতে নবান্ন অভিযান করতে হবে।”
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাসবিহারী মোড় থেকে মিছিল শুরু হয় বিজেপির। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সেই মিছিল কসবার দিকে এগিয়ে চলে। মিছিলে ঝাঁটা হাতে শামিল হন দলের মহিলা কর্মীরা, ছিলেন যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরাও। ‘কন্যা বাঁচাও’ স্লোগান তুলে সেই মিছিল এগিয়ে যায় সাউথ ক্যালকাটা ল’কলেজের দিকে। সেখানে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্ষণের ঘটনা তুলে একহাত নেন রাজ্যের শাসকদলকে। তিনি বলেন, “অভয়ার কথা ভুলে গেলেন ? এক বছর আগের। চোখ থেকে জল বেরোয়নি, রক্ত বেরিয়েছে। কী কষ্ট দিয়েছে আপনার বোনটাকে। হাঁসখালি, কালিয়াগঞ্জ, কামদুনি, সন্দেশখালি, কাটোয়া, কাকদ্বীপ, মাটিগাড়া, ময়নাগুড়ি, বগটুই…গোটা বাংলায় ধর্ষকের ভূমিকায় মমতার বাহিনী। তাই এদের তুলে ফেলতে হবে। এ তো সবে শুরু অভিযান থামবে না। বিজেপি রাজপথে আছে। বৃষ্টি তো দূরের কথা, গুলি খেতেও প্রস্তুত আছেন। নো ভোট টু মমতা।”
কসবাকাণ্ডে নতুন তথ্য
কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে নতুন তথ্য পুলিশের হাতে। ঘটনার পরের দিন গ্রেফতারির এক ঘণ্টা আগে বালিগঞ্জ স্টেশনের কাছে ফার্ন রোডে একজনের সঙ্গে দেখা করেন অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র ও জেব আহমেদ। ওই ব্যক্তি কে ? কী কারণে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তরা ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর, দু’জনের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে জানা গেছে, ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ২৬ জুন, সন্ধে ৬টা ২৫-এ ফার্ন রোডে কারও সঙ্গে দেখা করেছিলেন মনোজিৎ ও জেব। এর এক ঘণ্টা পর, সন্ধে ৭টা ২০ মিনিটে বোসপুকুরের তালবাগান এলাকা থেকে মনোজিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৭টা ৩৫-এ ওই এলাকা থেকেই গ্রেফতার হন আরেক অভিযুক্ত জেব।