কলকাতা: আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় পারদ চড়ছে। সেই আবহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে সরব হচ্ছে বিজেপি। এবার সেই নিয়ে মমতাকে সময়সীমা বেঁধে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবারের মধ্যে মমতাকে পদত্যাক করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি। অন্যথায় বড় কিছু ঘটতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিলেন। (Suvendu Adhikari)
আর জি করের ঘটনায় বুধবার কলকাতার রাস্তায় মশাল হাতে মিছিল করে বিজেপি। সেই মিছিলে নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু। ‘দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’ লেখা টি-শার্ট পরে মিছিলে হাঁটেন তিনি। মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিংয়ে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। আর সেখান থেকেই মমতাকে পদত্যাগের সময়সীমা বেঁধে দেন শুভেন্দু। (Mamata Banerjee)
ডোরিনা ক্রসিংয়ে মিছিল শেষ হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “সোমবারের মধ্যে পদত্যাগ করুন। নইলে মঙ্গলবার গুলি চললে, তার দায় মমতাকে নিতে হবে।” আর জি কর নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যে বিজেপি-র তরফে মমতাকে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। ২৭ অগাস্ট বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন ABVP নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। ওই দিন মমতাকে নবান্ন ছেড়ে, বাংলাদেশের শেখ হাসিনার মতো পালাতে হবে বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিচ্ছে CISF. পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে এসে পৌঁছেছেন CISF-এর ডিআইজি। হাসপাতাল এবং হস্টেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে CISF. হাসপাতালের কোন জায়গায় কত জওয়ান মোতায়েন করতে হবে এবং কীভাবে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়, রূপরেখা ঠিক করতে কথা বলেন পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। ঘুরে দেখেন জরুরি বিভাগ। ১৪ অগাস্ট রাতে ভাঙচুর করা হয় এই জরুরি বিভাগেই। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর বক্তব্য, “এটা রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি হওয়ারই সমান। পুলিশমন্ত্রী ফেল। লাজ-লজ্জা নেই।”
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশ সম্পূর্ণ ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তার মধ্যেও কোনও কারণে সুপ্রিম কোর্ট আর জি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিয়েছে। আমরা পরিষ্কার বলেছি, এখানে আর জি কর-কে ঘিরে গন্ডগোল করছে রাম-বাম এবং কিছু অশুভ শক্তি। এখন তাদের বাহিনী যদি সামলায়, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। করতে পারে। দায়িত্ব নিয়েছেন, করছেন। কিন্তু এমন বহু জায়গাই রয়েছে, অন্য রাজ্যেও ঘটছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামেনি। শুধু বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে যাবে না, সেটা কী করে হতে পারে!”
আরও দেখুন