জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আর কিছুদিন পরেই শুরু নবরাত্রি। আর এই উত্সবের অন্যতম আকর্ষণ হল গরবা। এবার সেই অনুষ্ঠান শুরুর আগেই জারি হল এক তাজ্জব করা ফতোয়া। জানা গিয়েছে, গরবা অনুষ্ঠানে সামিল হতে চাইলে খেতে হবে গোমূত্র। তবেই অংশ নেওয়া যাবে। এই ফতোয়া জারি করেছে বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটে, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। এই খবর চাউর হতেই হইহই পড়ে যায়। শুরু হয় তুমুল বিতর্ক।
চিন্টু বর্মা নামে ইন্দোরের বিজেপি সভাপতি সাংবাদিকদের সামনে বলেন, যদি কেউ সাচ্চা হিন্দু হন, তাহলে তাঁর নিশ্চই গোমূত্র পানে আপত্তি থাকার কথা নয়। তাঁর কথায়, আমরা নবরাত্রি উদ্যোক্তাদের বলেছি, ভক্তদের মণ্ডপে ঢোকার আগে গোমূত্র দিয়ে আচমন করিয়ে নিতে।
এরকম নির্দেশ জারি করার কারণ জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন, আধার কার্ড বদলানো যেতে পারে। কিন্তু, যদি কেউ সত্যি হিন্দু হন, তাহলে তাঁকে গরবা মণ্ডপে ঢোকার আগে গোমূত্র দিয়ে আচমন করে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়।
বিজেপি সভাপতির এমন আজগুবি মতামতের চাচাছোলা আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস। বিরোধী নেতার দাবি, এটা বিজেপির মেরুকরণ রাজনীতির আরেকটি দৃষ্টান্ত। এই ধর্মীয় রাজনীতি বিজেপি করে থাকে। পাল্টা যুক্তি, বিজেপির। তারা জানিয়েছে, প্রকৃত হিন্দু গোমূত্র পান করে তবেই এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন:Fake Note: গান্ধীর বদলে নোটে অনুপম খেরের ছবি, ১ কোটি ৩০ লাখের পেমেন্ট পেয়ে মাথায় হাত ব্যবসায়ীর
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় নবরাত্রি উৎসবে গরবা পালন করা হয়। গরবা হল গুজরাটি নৃত্য। সারারাত ধরে মেয়েরা এই নাচ করে থাকে। অনেকসময় অংশ নেয় ছেলেরাও। শুরু হতে চলেছে নবরাত্রি, তার আগেই এই মন্তব্য শোরগোল ফেলেছে।
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র নীলাভ শুক্লা বলেন, বিজেপি নেতারা গোমাতা আশ্রয়স্থলের দুর্দশা নিয়ে চুপ, এদিকে অন্য বিষয় নিয়ে রাজনীতি করছে। গোমূত্র দিয়ে আচমন করা বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণের আর এক নতুন কৌশল। তিনি আরও বলেন, আগে বিজেপি নেতারা মণ্ডপে ঢোকার আগে গোমূত্র পান করে মণ্ডপে করুক এবং আর সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করুক।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)