ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বোলপুর : রামপুরহাটের পর আজ বোলপুরে মিছিল করলেন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের জেলা সভাপতি থাকাকালীন কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন তিনি। বীরভূমে কোর কমিটির বৈঠক চলাকালীন অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সভাপতি থাকাকালীন ঘোষিত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। সেইমতো আজ বোলপুরে বৈঠক করেন অনুব্রত মণ্ডল। উপস্থিত ছিলেন দলের অন্যান্য জেলা নেতারা। বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠ থেকে শুরু হয় বিশাল মিছিল। সেখানে গাড়িতে চড়ে মিছিল করার সময় এবিপি আনন্দ-র প্রতিনিধিকে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিলেন তৃণমূল নেতা।
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই কি এই মিছিল যে, অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের রাজনীতিতে পুরোদমে…?
প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই অনুব্রতর উত্তর, “না…না..একেবারেই না। আমি মিটিং ডেকেছে, ১১ তারিখে। তিনটে সাব ডিভিশনের ১১ তারিখে মিটিং ডেকেছি। মিছিল বার্তা একটাই, ‘২৬-এর বার্তা। সব সিটই টার্গেট। গোটা পশ্চিমবঙ্গ টার্গেট। ২৩০ থেকে ২৪০।”
কিন্তু, গতকাল আপনি রামপুরহাটে মিছিল করার পর নলহাটি থেকে তৃণমূল এবং সিপিএম থেকে প্রায় ৭০টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল ?
উত্তরে অনুব্রত বলেন, “ভুল ধারণা। নলহাটিতে ভুজুম বলে একটা গ্রাম আছে। সেখানে ১০-১২টি পরিবার, তারা বরাবরই বিজেপি করে। মধ্যেখানে ২-৩টি পরিবার তৃণমূলে এসেছে। ওদের ওটাই নিয়ম। যখনই বড় কোনও কিছু কাজ করি আমরা, তখনই ওই ১০-১২টা পরিবারকে নিয়ে তারা বিজেপি যোগ দেওয়ায়।”
বিরোধীরা বলছে, বীরভূমে তৃণমূল দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একদিকে অনুব্রত মণ্ডল এবং অন্যদিকে…
অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “দেখে মনে হচ্ছে কি ? আজ ট্রেলার হল। দেখা যাবে পরে।”
এতদিন জেলা সভাপতি থেকে তারপরে দলের এই সিদ্ধান্ত, কোথাও অভিমান-ক্ষোভ ?
অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালবাসি। আমার লিডার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি সিপিএমকে তাড়িয়েছি। চ্যালেঞ্জ করে। ওতে আমার কোনও ক্ষোভ নেই।”
ভবিষ্যতে আবার যদি দল আপনাকে জেলা সভাপতি চায় ?
অনুব্রতর উত্তর, “ওটা দলের ব্যাপার। আমি দলের সৈনিক। পরিশ্রম করব।”
ভবিষ্যতে অন্য কোনও জেলা সভাপতির আন্ডারে যদি কাজ করতে হয় তখন ?
তৃণমূল নেতার উত্তর, “আমি ছোট থেকে দল করে এসেছি। আমি দলের কাজ করব। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ করব। আমার সঙ্গে কারো কোনও দ্বন্দ্ব নেই। দ্বন্দ্ব থাকলে এত লোক আসে নাকি ।”
নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা ভাবছেন ?
অনুব্রতর উত্তর, “না। কোনও দিনই দাঁড়াইনি। এখনও দাঁড়াব না।”
আরও দেখুন