বীরভূমকাণ্ডের পর বিস্ফোরক অধীর, ‘সবাই জানে দিদি ও খোকাবাবু কার পক্ষে ? ..’

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, রাজীব চৌধুরী, সোমনাথ মিত্র, বীরভূম: বীরভূমের কাঁকরতলায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় ২৭ জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে মাত্র একজন। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল সমর্থক শেখ কালো এখনও অধরা। বীরভূমের কাঁকরতলায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় ২৭ জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে মাত্র একজন। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল সমর্থক শেখ কালো এখনও অধরা। শেখ কালোর আত্মীয়স্বজনরা ঘরছাড়া। ধৃতকে হেফাজতে চাইল না পুলিশ, জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
‘…সবাই জানে’
থমথমে এলাকা। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। তল্লাশি চলছে আশেপাশের এলাকায়। তৃণমূল কর্মী খুনের ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর এখন এটাই ছবি বীরভূমের কাঁকরতলায় বড়রা গ্রামের। এদিকে তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় ২৭ জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের হলেও, গ্রেফতার হয়েছে মাত্র একজন। তার ওপর ধৃতকে হেফাজতেই চাইল না পুলিশ। শনিবার রাতে শেখ আকবর নামে একজন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত শেখ কালো। কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন , ‘এই বীরভূমে দু’টি গোষ্ঠী। একটা কেষ্টা, আর একটা তার বিরুদ্ধে। দিদি কেষ্টার পক্ষে, খোকাবাবু আর একজনের পক্ষে। সবাই জানে এটা।’
ঠিক কী হয়েছিল ?
নিহত তৃণমূলকর্মীর দাদা শেখ একরামুল বললেন, মেন হচ্ছে শেখ কালো, মিলন, দিলখুশ, সাদ্দাম আরও অনেকে। আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ শাস্তি দিক। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে শুক্রবার কাঁকরতলার বড়রা গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ, মোটরবাইকে করে ফেরার সময় গ্রামের মুখে গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী শেখ নিয়ামুলের রাস্তা আটকায় শেখ কালোর লোকজন। যিনি এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত।লাঠি-বাঁশ-রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে, পায়ে কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম নিয়ামুলকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে, মৃত্যু হয় বছর ৪০-এর ওই তৃণমূল কর্মীর।
‘আমরা চাই.’
প্রশ্ন উঠছে, ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও পুলিশ কেন বাকি অভিযুক্তদের হদিশ পেল না? কেনই বা ধৃতকে হেফাজতে চাইল না পুলিশ? খয়রাশোল বড়রা তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি বলেন শেখ জয়নাল, আমরা কোনও হানাহানিকে প্রশ্রয় দিই না। আমরা চাই, যেন নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের যেন কঠোরতম শাস্তি হয়, এটাই মানুষ অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না মূল যারা এই কর্মে প্রত্যক্ষভাবে দোষী, তাদেরকে না গ্রেফতার করা হবে, ততক্ষণ কেউ খুশি হতে পারে না।
আরও পড়ুন, প্রায় ২০০ টি ফোনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পুলিশে, এখান থেকে সিম কার্ড কিনেছেন কি ?
গত ১১ ফেব্রুয়ারি কাঁকরতলায় বালি খাদানের বখরা নিয়ে বোমাবাজি হয়। বোমার আঘাতে পা উড়ে যায় এক ব্যক্তির। অভিযোগ ওঠে, অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখের গোষ্ঠীর লড়াইয়ের জেরেই এই ঘটনা ঘটে। এবার কোন্দলে প্রাণ হারালেন এক তৃণমূল কর্মী। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ কোনওভাবেই মানতে নারাজ কাজল শেখ। ধৃত শেখ আকবরকে এদিন তোলা হয় দুবরাজপুর আদালতে।১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও দেখুন