ABP Ananda Live: রেড কার্ডের পর এবার ‘দুয়ারে ঠেঙানি’র দাওয়াই। বিজেপি কর্মীদের ‘দুয়ারে ঠেঙানি’র দাওয়াই শাসক কাউন্সিলরের স্বামীর। ‘অনেক উন্নয়ন দিয়েছি, অনেক সোহাগ দিয়েছি’। ‘২৬-এ বিজেপি করলে ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেব’।
‘চূড়ান্ত অব্যবস্থা… কেউ এই কথা বললে বিরোধিতা করতে পারব না,’ মমতার মন্তব্যকে সমর্থন শঙ্করাচার্যের
এবার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। যা নিয়ে কড়া ভাষায় নিন্দা ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। যদিও এই মন্তব্য সমর্থন করেছেন উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষ পীঠের ৪৬তম শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী।
একাধিকবার আগুন লাগা সহ পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মহকুম্ভের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যা নিয়ে গতকাল সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহাকুম্ভকে মৃত্যকুম্ভও বলেন তিনি। আর তাঁর এই মন্তব্যে এবার তাঁর পাশে দাঁড়ালেন শঙ্করাচার্য। এদিন তিনি বলেন, “… ৩০০ কিলোমিটার যানজট ছিল। যদি এটা অব্যবস্থাপনা না হয়, তাহলে এটা কী? তীর্থযাত্রীদের জিনিসপত্র নিয়ে ২৫-৩০ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয়েছে। স্নানের জল নর্দমার জলের সঙ্গে মিশে যায়। বিজ্ঞানীরা এটিকে স্নানের জন্য উপযুক্ত মনে করেন না। তবুওকোটি কোটি মানুষকে এতে স্নান করতে বাধ্য করছেন। আপনার কাজ ছিল হয় কয়েক দিনের জন্য ড্রেন বন্ধ করে দেওয়া অথবা সেগুলি সরিয়ে দেওয়া যাতে মানুষ স্নানের সময় বিশুদ্ধ জল পেতে পারে… আপনি ১২ বছর আগে জানতেন যে মহাকুম্ভ ১২ বছর পরে আসবে, কেন আপনি এই বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেননি!” গোটা ব্যবস্থাপনা নিয়েই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। এদিন শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী বলেন, “যখন আগে থেকেই জানা ছিল যে এত লোক আসবে এবং জায়গা সীমিত, তখন এর জন্য একটি পরিকল্পনা করা উচিত ছিল। কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি। মিথ্যা প্রচার করা হয়েছে। ভিড় ব্যবস্থাপনা এবং আতিথেয়তার জন্য নীতি অনুসরণ করা হয়নি। এমনকি মানুষ মারা গেলেও, তারা তা লুকানোর চেষ্টা করেছিল। যা গুরুতর অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে, কেউ যদি এই মন্তব্য করেন, তাহলে আমরা বিরোধিতা করতে পারব না…।”