কলকাতা: কাকভোরে হাজিরা দিলেন সাসপেন্ডেড TMCP নেতা বিক্রমজিৎ সাউ। অনুব্রতর কদর্য আক্রমণের পর বোলপুরের IC-কে নিশানা করে ভিডিও পোস্ট সাসপেন্ডেড TMCP নেতা। পুলিশকে হুমকির অভিযোগে সকাল ১১টায় তলব করা হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই এদিন সিউড়ি থানায় হাজির দেন তিনি। সকাল ৬ থেকে ৭.৩০ পর্যন্ত দেড়ঘণ্টা সাসপেন্ডেড TMCP নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বীরভূমের প্রাক্তন জেলা সভাপতির পর, বীরভূমের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি পুলিশকে আক্রমণ করেন। কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডলকে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে, ছেড়ে দিলেও বীরভূমের TMCP নেতাকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। সোশাল মিডিয়ায় পুলিশকে আক্রমণ করে পোস্ট করার ঘটনায় সাসপেনডেন্ড TMCP নেতা বিক্রমজিৎ সাউকে আজ সকালে সিউড়ি থানায় তলব করা হয়েছে। গতকাল বাড়িতে ছিলেন না বিক্রমজিৎ। তাঁর ফোনও বন্ধ ছিল। পুলিশকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার আক্রমণ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হতেই, তড়িঘড়ি তাঁকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করে দল। সাসপেনডেন্ড TMCP নেতা বিক্রমজিৎ সাউয়ের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত FIR দায়ের করে সিউড়ি থানা। এরপর তাঁকে তলব করা হয়। অনুব্রত মণ্ডল দুবার তলবের পরেও হাজিরা দেননি। মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। বিক্রমজিৎ আদৌ হাজিরা দেবেন কিনা তা নিয়েও তৈরি হয় জল্পনা। এদিন সেই জল্পনা মিথ্যে করে কাকভোরে হাজিরা দেন থানায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুর থানার আইসিকে কদর্য আক্রমণের পরে সোশাল মিডিয়ায় পুলিশকে আক্রমণ করে পোস্ট করেন বিক্রমজিৎ সাউ। বিক্রমজিৎ সাউ বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডলের অত্য়ন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগে হুমকি সংস্কৃতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই TMCP-র জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে খোদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে চিঠি দেন, বীরভূমের TMCP-র জেলা সহ সভাপতি প্রীতম দাস। বিরোধীরা প্রশ্ন করছে, তখনই যদি তৃণমূল বিক্রমজিতের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নিত, তাহলে কি এখন পুলিশকে আক্রমণ করার সাহস পেতেন তিনি?
এদিকে বোলপুর থানার আইসিকে গালিগালাজের পর পুলিশি তলব এড়াতে যে মেডিক্য়াল সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। সেখানে সই রয়েছে H চৌধুরীর। পাশে লেখা রেজিস্ট্রেশন নম্বর। সেই রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্য়াল কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে এই H চৌধুরী আসলে চিকিৎসক হিটলার চৌধুরী। অথচ তিনি যে মেডিক্য়াল সার্টিফিকেট অনুব্রত মণ্ডলকে ইস্য়ু করেছেন তাতে লেখা শান্তিনিকেতন মেডিক্য়াল কলেজ অ্য়ান্ড হাসপাতাল। চিকিৎসক সংগঠন থেকে শুরু করে প্রাক্তন স্বাস্থ্য অধিকর্তা, সবাই বলছেন, BMOH বা ব্লক মেডিক্য়াল অফিসার একটি নন প্র্যাক্টিসিং পোস্ট। তাই এরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারেন না। বিতর্কের পর এদিন দেখা যায় হিটলার চৌধুরীর রামপুরহাটের ফ্ল্যাটের বাইরে তালা ঝুলছে।