কোর কমিটি নিয়ে অব্যাহত বিতর্ক, মন্তব্য থেকে সরলেন রামপুরহাটের বিধায়ক

About Post Author

JagoronBarta

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বীরভূমে কোর কমিটির অস্তিত্ব নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। শনিবার কোর কমিটি নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় (Ashis Banerjee)। পরের দিনই সেই মন্তব্য থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন তিনি। কোর কমিটি নিয়ে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেবেন বলে দাবি তাঁর।

অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জেলমুক্তির পর থেকে প্রতিদিন রাজনৈতির সমীকরণ বদলাচ্ছে বীরভূমে। সবচেয়ে বেশি বিতর্ক বেধেছে কোর কমিটি নিয়ে। কেষ্ট ফেরার পরেই জেলা পার্টি অফিস থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল নেত্রীর তৈরি করা কোর কমিটির সদস্যদের ছবি দেওয়া হোর্ডিং। সেই নিয়ে বিতর্কের মাঝেই শনিবার কোর কমিটির অস্তিত্ব নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আবার সেখানে থেকে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরেও গেলেন তিনি। রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোর কমিটি গড়েছেন। কোর কমিটি যদি ভেঙে দিতে হয় তিনি ভাঙবেন। উপরে থেকে যা নির্দেশ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা নির্দেশ দেবেন সেই নির্দেশ আমরা মেনে চলব।”

গরু পাচার মামলায় প্রায় আঠারো মাস তিহাড় জেলে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিছুদিন আগেই জাামিন পেয়ে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে ফিরেছেন। তারপর থেকে তাঁর বাড়িতে যাওয়া আসা লেগেই আছে বীরভূমের তৃণমূল নেতা কর্মীদের। প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সমীকরণ। শুধু আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের মন্তব্যও কোর কমিটি নিয়ে ধন্দ বাড়িয়েছে। বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ বলেন, “কোর কমিটি যখন এখনও আছে তাহলে কোর কমিটির এখনও তো অস্তিত্ব আছে, কিন্তু কী হবে বা কে জোর দেবে আমার কোনও ধারনা নেই, এখনও পর্যন্ত ধারনা নেই।”

আর এই আবহে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “বর্তমান যে পরিস্থিতি বীরভূমের রাজনীতিতে তৃণমূলের হয়েছে, সেই জায়গায় তৃণমূল এখন ঠিক করতে পারছে না কী করব, একজন যাচ্ছে কেষ্টবাবুর বাড়ি, সে বলছে দাদার সঙ্গে কথা হয়ে গেল, আর একজন দাদর বড়ি ঢুকতেই পারছে না, রাজনীতিতে কখন কে কার বন্ধ, কে কার শত্রু, তৃণমূলের কাছে সেটা শিখতে হবে।”

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  

আরও পড়ুন: Junior Doctors Protest:বিচারের দাবিতে পথে জুনিয়র ডাক্তাররা, মশাল হাতে সামিল নাগরিক সমাজও

আরও দেখুন


Source link

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *