মা ও দুই শিশুর নলি কাটা দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার মাছ ব্যবসায়ী

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বীরভূমের (Birbhum News) মহম্মদবাজারে নৃশংস খুন। বাড়ি থেকে উদ্ধার মা ও তাঁর দুই শিশু সন্তানের নলি কাটা দেহ। ঘটনাকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মহম্মদবাজারের ম্যানেজারপাড়া এলাকায়।
গ্রেফতার মাছ ব্যবসায়ী: পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপড়েনেই ৩ জনকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন এক মাছ ব্যবসায়ীকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। মহম্মদবাজারের ম্যানেজারপাড়ায় মাটির বাড়িতে এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন লক্ষ্মী মাড্ডি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে মাঠে ধান পুঁততে যাওয়ার কথা ছিল মহিলার। ঘুম থেকে না ওঠায় ডাকাডাকি করতে যান প্রতিবেশীরা। সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয় তাঁদের। দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে বীভৎস দৃশ্য দেখতে পান তাঁরা। গ্রামবাসীরা দেখেন, মেঝে জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে জমাট রক্ত। খাটিয়ায় কম্বলে ঢাকা দেওয়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে মা ও সাত বছরের মেয়ের নলি কাটা দেহ। নীচে মেঝেয় রড়ে রয়েছে ৫ বছরের ছেলের রক্তাক্ত দেহ। তারও নলি কাটা। নিহত লক্ষ্মী মাড্ডির কাকিমা মহারানি সোরেন বলেন, “যারা মেরেছে ওদের যেন আমরা দেখতে পাই। বৌদি আর ও (নিহত লক্ষ্মী মাড্ডি) ধান পুঁততে যেত আজকে। ও বলছে, এত বেলা হচ্ছে, কই আসে না, আসে না! ওই দেখেছে। আমরা জানি না। আমরাও ভোরে মাঠে যেতাম। তাহলে ওরা পড়েই থাকত।”
মায়ের সঙ্গে দুই নিষ্পাপ শিশুর মর্মান্তিক পরিণতি দেখে আতঙ্কে মহম্মদবাজারের এই আদিবাসী পাড়া। এলাকায় পুলিশ কুকুর নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে সাময়িক বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারি চেয়ে মহম্মদবাজারের ম্যানেজারপাড়ার কাছে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি। রাস্তায় শুয়ে পড়ে, আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। এক মাছ বিক্রেতার সঙ্গে তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্পর্কের টানাপড়েনেই এই খুন। দুকড়ি দাস নামের সন্দেহভাজন মাছ ব্যবসায়ীকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী মালতী সোরেন বলেন, “আমি আর থাকতে পারলাম না। রক্ত দেখে আমি পালিয়ে গেলাম কাঁদতে কাঁদতে। ওই বাচ্চাদের কেন এমন হবে! আমরা খুনিকে ধরব, খুনিকে ধরব।”
আরও পড়ুন: Gangasagar Mela 2025: “গঙ্গাসাগরে গিয়েছিলাম… সরকার যথেষ্ট তৎপর” প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির
আরও দেখুন