NOW READING:
‘আমরা কাজল দা-র নেতৃত্বে লড়ব’, অনুব্রতর ওপর কি আস্থা হারাচ্ছেন TMC নেতা-কর্মীরাই ?
June 4, 2025

‘আমরা কাজল দা-র নেতৃত্বে লড়ব’, অনুব্রতর ওপর কি আস্থা হারাচ্ছেন TMC নেতা-কর্মীরাই ?

‘আমরা কাজল দা-র নেতৃত্বে লড়ব’, অনুব্রতর ওপর কি আস্থা হারাচ্ছেন TMC নেতা-কর্মীরাই ?
Listen to this article


ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর : কুকথা কাণ্ডে ৬দিন পার, এখনও হাজিরা দিলেন না অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত-প্রশ্নে এখনও হাত গুটিয়ে বসে পুলিশ! এবার অনুব্রত মণ্ডলের ওপর কি আস্থা হারাচ্ছেন শাসক দলের নেতা-কর্মীরাই ? অনুব্রত মণ্ডল নয়, কাজল শেখের ওপর আস্থা সাঁইথিয়ার বনগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ও শাসক দলের কর্মীদের। প্রান্তিকে কাজল শেখের সঙ্গে সাক্ষাৎ সাঁইথিয়ার বনগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী ও স্থানীয় নেতৃত্বের। শাসক দলের প্রায় ১০০ জন নেতা-কর্মী দেখা করলেন কাজল শেখের সঙ্গে। ‘অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে থাকব না, এবার থেকে চলব কাজল শেখের নেতৃত্বে’, এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন উপপ্রধান সহ শাসক দলের নেতা-কর্মীরা।

আজ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে সাঁইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তুষার কান্তি মণ্ডলের নেতৃত্বে প্রায় ১০০ জন স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও কর্মী আসেন বোলপুরে। প্রান্তিকে যে পার্টি অফিস রয়েছে, সেখানে এসে কাজল শেখের সঙ্গে দেখা করেন। কাজল শেখ তাঁদের সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। শেষে উপপ্রধান জানান, একটা সময় তিনি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী ছিলেন। কিন্তু, এখন আর তাঁরা অনুগামী নেই। কারণ, অনুব্রত মণ্ডলের কাছে গত এক মাস ধরে তাঁরা অনেকবার গিয়েছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছু হয়নি। এখন তাঁরা কাজল শেখের নেতৃত্বে চলতে যান। ২০২৬-এর বিধানসভা ভোট তাঁরা কাজল শেখের নেতৃত্বেই করতে চান। 

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা ও বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, “আমি একজন দলের কর্মী। আমি কর্মী হিসাবে কাজ করছি। কর্মী হিসাবে কাজ করব। কাজল শেখের শরীরে এক রক্তবিন্দু অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত কে কাজ করেছে, আর কে কাজ করে নাই, যে করে নাই সেটা তার ব্যাপার। আমি কাজ করছি। মানুষ আমার কাছে আসছে। আমি কাজ করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের সকলের উচিত নিজের অনুগামী তৈরি না করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী হওয়া।” অন্যদিকে তুষারকান্তি মণ্ডল বলেন, “কেষ্টদা-র অনুগামী ছিলাম। আমরা বিগত এক মাস ধরে পঞ্চায়েতের সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে কেষ্টদা-র কাছে বারবার গিয়েছি। বনগ্রাম অঞ্চলের পক্ষ থেকে। কিন্তু, বারবার গিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। আমরা অপদস্থ হয়েছি। তাই আমরা সবাই মিলে ঠিক করেছি, আগামী দিনে আমরা কাজলদা-র নেতৃত্বে বনগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়বে।”



Source link