<p><strong>কলকাতা:</strong> গ্রীষ্মকালীন ছুটির জেরে বন্ধ রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নিয়ে রাজ্য সরকারের রিভউ পিটিশনের শুনানি হয়নি। আর সেই আবহেই শীর্ষ আদালতের আগের নির্দেশ মেনে পরীক্ষার কথা জানালেন। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরীক্ষায় বসার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত রিভিউ পিটিশনের রায়কেই চূড়ান্ত বলে ধরা হবে। তাই দু’টি বিকল্পকেই কাজে লাগানোর আর্জি জানিয়েছেন মমতা। চাকরিহারাদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, আপাতত পরীক্ষায় বসুন তাঁরা। রিভিউ পিটিশনে যদি চাকরি থাকে, তাহলে কথাই নেই। কিন্তু মমতার এই ঘোষণায় প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সিপিএম-এর রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। </p>
<p>এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা জানান, রিভিউ পিটিশন জমা দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু গ্রীষ্মকালীন ছুটির জেরে আদালত বন্ধ। এই অবস্থায় আদালতের আগের নির্দেশের সনয়সীমা অতিক্রান্ত হতে বসেছে। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ৩১ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল আদালত। তাই আদালতের নির্দেশের যাতে অবমাননা না হয়, সেই মতো পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করবে রাজ্য। পাশাপাশি, রিভিউ পিটিশনের প্রক্রিয়াও চলবে। শেষ পর্যন্ত রিভিউ পিটিশন গোটা প্যানেল বাতিল করার রায় যদি পাল্টে দেয়, তা-ই মেনে নেবে রাজ্য। </p>
<p>কিন্তু মমতার এই ঘোষণা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন বিকাশরঞ্জন। এবিপি আনন্দে তিনি বলেন, "বিজ্ঞপ্তি জারি করলে লড়াইটা থাকবে কোথায়? এর মানে কি আরও দুর্নীতিমূলক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আরও দুর্নীতি বড় করা? সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে, ৩১ মে-র পর্যন্ত নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। দুর্নীতি করেছে যারা, তারা পরীক্ষায় বসতে পারবে না, টাকা ফেরত দিতে হবে। সেই প্রক্রিয়াও তো চালু করতে হবে পাশাপাশি? সেটা না করে চাকরি গিয়েছে যাদের, তাদের চাকরি রক্ষা কবেন বলছেন। কী করে করবেন উনি? আবার দুর্নীতি করবেন? আসলে আবার একটা পরিকল্পনা করছেন, যার মাধ্যমে বৃহত্তর মামলায় গোটা সমাজকে জড়িয়ে নিতে চাইছেন। উনি দুর্নীতি করবেন, আর সমাজ দেখবে, এটা হতে পারে না।"</p>
<p>মমতা এদিন জানান, ব্যক্তিগত ভাবে অনেকে কোর্টে যাচ্ছেন, তা নিয়ে নেগেটিভ রিপোর্ট আসছে। তাঁরা এতদিন অপেক্ষা করছিলেন রিভিউ পিটিশনের জন্য। সেটা হলে চাকরি থাকবে সকলের, অন্যথায় অন্য উপায়ও বের করছে রাজ্য। কিন্তু বিকাশের বক্তব্য, "<a title="সুপ্রিম কোর্ট" href="https://bengali.abplive.com/topic/supreme-court" data-type="interlinkingkeywords">সুপ্রিম কোর্ট</a>ের রায় মেনে ৩১মে-র মধ্যে নতুন নিয়োগ চালু হলে, সেখানে রিভিউয়ের প্রশ্ন থাকে নাকি? উনি কি সবাইকে ওঁর মতো গাধা মনে করেন? যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে, আদালত বলেছে, পরীক্ষায় বসতে পারবেন না, তাঁদের তিনি আবার বেআইনি ভাবে অন্যত্র চাকরি দেওয়াবেন? যা হচ্ছে, উনি যা ভাবছেন, উনি জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। "</p>
Source link
‘আরও একটি দুর্নীতির পরিকল্পনা, অগ্নিকুণ্ডে ফেলে দিতে চাইছেন’, মমতার ঘোষণা নিয়ে বিকাশরঞ্জন
