টাকা নিয়ে কী করেছেন ডাক্তাররা? ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের ৭ সদস্যকে তলব

<p><strong>RG Kar News:</strong> ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের ৭ সদস্যকে তলব করল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম শাখা। রাজু ঘোষ নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে অনিকেত মাহাতো সহ ৭ জনকে নোটিস পাঠানো হয়। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টে ৫০০০ হাজার টাকা দিয়ে রশিদ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ অনেক জুনিয়র চিকিৎসক নিজেদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টেও ফান্ডের টাকা নিয়েছেন। এই টাকা কোথায় ব্যবহার হয়েছে জানতে চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। অনিকেত ছাড়া বাকি ৬জন ডিউটিতে থাকার কথা জানিয়ে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হননি। অনিকেত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন। তাঁর দাবি, কী অভিযোগ জানায়নি পুলিশ। ফান্ড নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছে তাঁকে। </p>
<p>কী অভিযোগ করেছেন রাজু ঘোষ </p>
<p>ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট অভয়ার বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রাউড ফান্ডিং করেছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কিউআর কোডের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়েছিল। রাজু ঘোষের অভিযোগ, তিনি টাকা দেওয়ার পরে কোনও রশিদ অর্থাৎ মানি রিসিট পাননি। একাধিক জায়গা থেকে বিভিন্ন নামে টাকা তোলা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন রাজু। হোয়াটসঅ্যাপে ‘জাস্টিস ফর অভয়া’, ‘ফাইট ফর আর জি কর’ – এইসব নামেও টাকা তোলা হয়েছে প্রচুর লোকের থেকে। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করেন, এই টাকা নিয়ে ডাক্তারদের কেউ সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে তদন্ত করে দেখার জন্য। জনসাধারণের টাকা নিয়ে ডাক্তাররা কোনও ভাবে সুবিধাভোগী হচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতেই তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন রাজু ঘোষ। বিধাননগর কমিশনারেট, টালা থানা, লালবাজার-সহ একাধিক জায়গায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তার ভিত্তিতেই নোটিস পাঠানো হয়েছে অনিকেত মাহাতো-সহ মোট ৭ জন চিকিৎসককে। </p>
<p>কী বলছেন জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো </p>
<p>ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট আন্দোলনের ধারাবাহিকতার জায়গা থেকে তৈরি হয়েছে। তার আগে আন্দোলন পরিচালনার জন্য জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট নয়। জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের যাবতীয় হিসেব আমাদের কাছে রয়েছে। অডিট চলছে। সেটা শেষ হলে জনসাধারণের সামনে সব হিসেব আমরা দিতে পারব। অভিযোগ লিপি দেওয়া হলে তাহলে পাবলিক ডোমেনে আমরা সদুত্তর দিতে পারব। আন্দোলন যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে, এই কথাও বলেছেন অনিকেত। এর পাশাপাশি তিনি এই আভাসও দিয়েছেন যে এই অভিযোগ অনেকটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর আগে যে আশফাকুল্লা নাইয়া, কিঞ্জল নন্দের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা হয়েছে, সেই উল্লেখও করেছেন তিনি। </p>
Source link