NOW READING:
লোডশেডিংয়ে ঝুলে লিফট, ভিতরে আটকে একরত্তি ছেলে, আতঙ্কেই মারা গেলেন বাবা
May 28, 2025

লোডশেডিংয়ে ঝুলে লিফট, ভিতরে আটকে একরত্তি ছেলে, আতঙ্কেই মারা গেলেন বাবা

লোডশেডিংয়ে ঝুলে লিফট, ভিতরে আটকে একরত্তি ছেলে, আতঙ্কেই মারা গেলেন বাবা
Listen to this article


ভোপাল: দুর্যোগের রাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। কিন্তু তা থেকেই ঘটে গেল অঘটন। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে লিফটে আটকে পড়েছিল এক বালক। তাকে উদ্ধার করতে ছোটাছুটি করছিলেন ছেলেটির বাবা। শেষ পর্যন্ত ছেলে অক্ষত অবস্থায় লিফট থেকে বেরিয়ে এলেও, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ওই ব্যক্তি। গোটা ঘটনায় শোকস্তব্ধ পাড়া-পড়শিরা। (Bhopal Lift Stuck Incident)

মধ্য়প্রদেশের ভোপাল থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। সেখানকার Royal Farm Villa Colony-তে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিজাত আবাসনের ৩০৭ নম্বর ফ্ল্যাটে দুই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বাস করতেন ৫১ বছর বয়সি, ইনস্যুব়্যান্স অ্যান্ড প্রপার্টি ব্রোকার ঋষিরাজ ভটনাগর। সোমবার রাতে নৈশভোজ সেরে,  ১০.৩০ নাগাদ নীচে হাঁটতে যান তিনি। (Panic Attack)

সেই সময় ছোট ছেলে, আট বছরের দেবাংশকে নীচে খেলতে দেখে উপরে যেতে বলেন ঋষিরাজ। সেই সময়ই ঝড়ের দাপট শুরু হয়। দেবাংশ লিফটে ওঠার পরই বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। ফলে লিফটের ভিতর আটকে পড়ে দেবাংশ। ভিতর থেকে ‘পাপা’, ‘পাপা’ বলে চিৎকার করতে থাকে সে। 

ছেলে লিফটে আটকে পড়েছে দেখে বিহ্বল হয়ে পড়েন ঋষিরাজ। সিঁড়ি বেয়ে বেশ কয়েক বার উপর-নীচ করেন তিনি। ছেলে ঠিক আছে কি না, জানার চেষ্টা করেন গলা চড়িয়ে। ছুটে যান আবাসনের জেনারেটর রুমে। নিজের চেষ্টায় জেনারেটর চালু করতে পারেননি তিনি। তাই  নিরাপত্তারক্ষীকে জেনারেটর চালিয়ে,  লিফটের চাবি নিয়ে আসতে বলেন। এর পর ফের লিফটের দিকে ছুটে যান তিনি। কিন্তু ঋষিরাজ কয়েক কদমই ফেলতে পারেন মাটিতে। শরীর লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। 

এদিকে, কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বিভ্রাট কেটে যায়। সাকুল্যে তিন মিনিটের মধ্যে জেনারেটর চালু হয়ে যায়। আবার চালু হয় লিফট, নিরাপদে বেরিয়ে আসে ছোট্ট দেবাংশ। কিন্তু লিফট থেকে বেরিয়ে বাবাকে পড়ে থাকতে দেখে সে। ঋষিরাজের বড় ছেলে, ১৬ বছর বয়সি হর্ষিতও ছুটে আসে। ছুটে আসেন প্রতিবশীরা। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ঋষিরাজকে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ছোটেন সকলে। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

সমস্ত প্রক্রিয়া সেরে মঙ্গলবার বিকেলে আবাসনে ফিরিয়ে আনা হয় ঋষিরাজের দেহ। সেই সময় সকলেই কার্যত বাকরুদ্ধ ছিলেন। এমন কিছু ঘটতে পারে বলে তখনও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কেউ। আবাসনের বাসিন্দারা জানান, অত্যন্ত হাসিখুশি, ছটফটে মানুষ ছিলেন ঋষিরাজ। অন্যকে সাহায্য করতে সবার আগে ছুটে যেতেন। 

প্রাথনিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভবত প্যানিক অ্যাটাক হয় ঋষিরাজের। আতঙ্কেই হার্ট ফেল হয় তাঁর। ASI আমোদ শর্মা জানিয়েছেন, ছেলে লিফটে আটকে রয়েছে। তাতই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ঋষিরাজ। তাঁকে CPR দেওয়ারও চেষ্টা হয়। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি।

আরও দেখুন



Source link