NOW READING:
মিল মালিক কর্তৃপক্ষকে বেধড়ক মারধর, বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অকল্যান্ড জুটমিল
June 14, 2025

মিল মালিক কর্তৃপক্ষকে বেধড়ক মারধর, বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অকল্যান্ড জুটমিল

মিল মালিক কর্তৃপক্ষকে বেধড়ক মারধর, বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অকল্যান্ড জুটমিল
Listen to this article



<p style="text-align: justify;"><strong>সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা:</strong> মিল মালিক কর্তৃপক্ষকে বেধড়ক মারধরের জেরে বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অকল্যান্ড জুটমিল।&nbsp;ভাটপাড়া পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত জগদ্দলের অকল্যান্ড জুট মিল হঠাৎ বন্ধ করে দিল মালিক কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে বেশ কিছুদিন ধরে ওই মিলে মালিকপক্ষের সাথে ঝামেলা হচ্ছিল শ্রমিকদের একাংশের। জানা গিয়েছে শনিবার সকালে আচমকা সেই মিলের কর্তৃপক্ষ শঙ্কর তরফদারকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের একাংশের বিরুদ্ধে। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেলা বা কাজে যোগ দেওয়া শ্রমিকদের মিল থেকে কাজ ছেড়ে চলে যাওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়।</p>
<p style="text-align: justify;">তারপরেই শ্রমিকরা বলেন, ”শুনেছি মিলে মারপিট হয়েছে তার যেই সম্ভবত কর্তৃপক্ষ মিল বন্ধ করে দিয়েছে। এর বাইরে আর কিছু বলতে পারব না। অন্যদিকে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সংসদ <a title="অর্জুন সিং" href="https://bengali.abplive.com/topic/arjun-singh" data-type="interlinkingkeywords">অর্জুন সিং</a> বলেন, জুট শিল্প পুরোপুরি শেষ করে দিতে চাইছে এই সরকার। তাই প্রত্যেকটা মিলে জুলুমবাজি চালাচ্ছে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই মিলের সাহেবকে আজ মারধর করা হয়েছে। এলাকার কাউন্সিলরের ছেলে তার দলবল নিয়ে গিয়ে পার্টি অফিসে ঢুকিয়ে ওই সাহেবকে মারধর করেছে। পুলিশ কোন কাজ করছে না।</p>
<p style="text-align: justify;">কিছুদিন আগে একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছিল যে, হাওড়ার বাউরিয়া জুট মিলে দুই শ্রমিকের মধ্যে মজা করতে গিয়ে প্রাণ গেল সাবের মল্লিক নামের এক শ্রমিকের। মৃত্যুকালীন তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। মৃত সাবের মল্লিকের বাড়ি বাউড়িয়া থানার চকমধু গ্রামে। পরিবারের লোকের অভিযোগ, সাবের একটু নরম প্রকৃতির মানুষ হওয়ায়, তাঁকে সহকর্মীরা নানাভাবে উত্যক্ত করত। &nbsp;তিনি ওই মিলের পাট ঘরে কাজ করতেন। দীর্ঘদিন ধরে এই মিলে কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।</p>
<p>ঘটনার দিনে ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১১ টা।টিফিন টাইমে যখন নিজের ডিউটি শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন ঠিক তখনই ওই মিলের অন্য এক শ্রমিক ব্লোয়ার যন্ত্র দিয়ে তার মলদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এতে তার পেট ফুলে গেলে ঘটনাস্থলেই সে লুটিয়ে পড়েন। এদিকে এই ঘটনার কথা জানতে পেরেই মিল কর্তৃপক্ষ , ওই শ্রমিককে উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান পেটে অত্যধিক হাওয়া ঢুকে যাওয়ার ফলে নাড়ি ভুঁড়ি ফেটে গিয়েছে। এরপরে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মানিকতলায় ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই গতকাল সন্ধ্যায় &nbsp;মৃত্যু হয় ওই শ্রমিকের।</p>



Source link