জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস হল এমন একটি রোগ, যা প্রত্যেক ঘরে ঘরে দেখা যায়। ডায়াবেটিস হলে সাধারণত দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ গ্রহণ করে যেতে হয়। খাবারের ক্ষেত্রেও বেশ বাধ্যবাধকতা থাকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না আনলে নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস টাইপ ২ (T2DM)-এর ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে নিউরোপ্যাথি এবং হৃদরোগের মতো জটিলতার সৃষ্টি হয়। এবার এই ধরণের সমস্যার সমাধানে এক যুগান্তকারী ভ্যাকসিনের উদ্ভাবন করলেন বাঙালি গবেষক।
আরও পড়ুন, Mpox in India: ক্রমশ ভয়াল হচ্ছে মাঙ্কি পক্স আতঙ্ক! ফের ধরা পড়ল সংক্রমণ, ভারতে দ্বিতীয়…
পশ্চিম মেদিনীপুরের ছেলে ড. গওসাল আজম খান, বর্তমানে সৌদি আরবের কিং ফয়সল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত। তাঁর উদ্ভাবন করা এই ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই আমেরিকার পেটেন্ট ও ট্রেডমার্ক থেকে অনুমোদন পেয়েছে। ড. গওসাল সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে, ভন উইল্যান্ড ফ্যাক্টর (vWF) নামক একটি বহুগুনী গ্লাইকোপ্রোটিন মেগাকারিওসাইট ও এন্ডোথেলিয়াল কোষ থেকে উৎপন্ন হয় এবং স্ট্রেসের সময় ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স (IR) সৃষ্টি করে। এটি নাইট্রিক অক্সাইড (NO) সংশ্লেষণ বাধাগ্রস্ত করে। ভন উইল্যান্ড ফ্যাক্টর (vWF)-এর নির্দিষ্ট একটি অংশ ইনসুলিন রিসেপ্টরের সাথে প্রতিযোগিতা করে ইনসুলিনের কার্যকারিতা ব্যাহত করে এবং এর মাধ্যমে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। এই নির্দিষ্ট অংশটি যখন একটি অ্যান্টি-নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি দ্বারা নিষ্ক্রিয় করা হয়, তখন নাইট্রিক অক্সাইড (NO) উৎপাদন পুনরুদ্ধার হয় এবং শরীরের কোষে গ্লকোজ গ্রহণের হার বৃদ্ধি পায়।’ অধ্যাপক খান এই vWF-এর একটি প্রোটিন সিকোয়েন্স চিহ্নিত করে সেটিকে ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যবহার করেছেন।
উল্লেখ্য, ভ্যাকসিনটি বাজারে এলে রোগীদের আর দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ ব্যবহার করতে হবেনা। এখনও পর্যন্ত টাইপ ২ ডায়াবেটিসের কোনও ভ্যাকসিন উদ্ভাবন হয়নি। তাই ড. গওসালের এই উদ্ভাবন এক যুগান্তকারী সৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন, Smoking: খাচ্ছেন খান! তবে জেনে রাখুন, একটা সিগারেটের টানের পর যা যা ঘটে…
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)