রঞ্জিত সাউ: প্রেমিকার সঙ্গে ব্রেকআপ! আর এই ব্রেকআপের কারণে প্রতিশোধ নিতে প্রেমিকাকে বিরক্ত করার জন্য অনলাইনে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে শপিং করে প্রেমিকার অফিসে পাঠানোর অভিযোগ (Cash-on Delivery) এবং সেই সমস্ত পার্সেল ছিল ক্যাশ অন ডেলিভারিতে অর্ডার করা। অর্থাৎ প্রেমিকাকেই সেই টাকা দিতে হবে। একদিন-দু’দিন নয়, ৪ মাসের মধ্যে ৩০০ পার্সেল পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এভাবে সেই তরুণীকে দিনের পর দিন হেনস্থা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে লেকটাউন থানায়।
কয়েকদিন আগেই লেকটাউন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়, এক তরুণী অভিযোগ করেন অনলাইনে শপিং করিয়ে কোনো এক ব্যক্তি তার অফিসে দিনের পর দিন অনলাইন শপিংয়ের অর্ডার পাঠিয়ে যাচ্ছেন এবং সেই টাকা ক্যাশ অন ডেলিভারির কারণে তরুণীকেই দিতে হচ্ছে। প্রথমে তরুণীর সন্দেহ হয় তাঁর প্রাক্তন প্রেমিককে। তাঁকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন যে এরকম ঘটনা তিনিই (Cash-on Delivery) ঘটাচ্ছেন কিনা, উত্তরে সেই প্রেমিক এই ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে যান। এরপরেও দিনের পর দিন একই রকম ভাবে অনলাইনে অর্ডার করে তরুণীর অফিসের ঠিকানায় অর্ডারের জিনিস পাঠিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছিল। শেষমেষ লেকটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেই তরুণী।
পুলিশ তদন্তে নামে এই অভিযোগের ভিত্তিতে। যে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল অনলাইনে এই অর্ডার করার জন্য, সেই সূত্র ধরেই দেখা যায় সুমন সিকদার নামে এক নদিয়ার বাসিন্দা এই ঘটনা ঘটাচ্ছেন। এরপরই নদিয়ার রানাঘাট থেকে সুমন সিকদার নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, সুমনের প্রাক্তন প্রেমিকা ছিলেন ঐ তরুণী। কিছুদিন আগে একটি বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়, তারপরেই তাদের সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে। সুমন পুলিশকে আরও জানান, যখন তাঁর সঙ্গে এই তরুণীর সম্পর্ক ছিল, বিভিন্ন সময়ে এই তরুণী অনলাইনে শপিং করতেন এবং সেই টাকা সুমনকে দিতে হত। হঠাৎ তাদের মধ্যে ঝামেলা হয় এবং তারপরেই ব্রেকআপ হয়ে যায়। তারপর থেকে তরুণী কোনওভাবেই যোগাযোগ রাখছিলেন না সুমনের সঙ্গে। সেই কারণেই তাঁকে এভাবে হেনস্থা করেছেন সুমন, স্পষ্ট স্বীকার করেন তিনি। পুলিশ সুমনকে গ্রেফতার করলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে বিধাননগর আদালতে তাঁকে পেশ করা হলে তরুণীর সঙ্গে এই বিষয়টি তিনি মিটিয়ে নেন।
আরও দেখুন