জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০১১ সালে আইপিএল (IPL) তিন বছরে পা দিয়েছিল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এমএস ধোনির (MS Dhoni) চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। আর সেই বছর আইপিএল খেলেছিল কোচি টাস্কার্স কেরালাকে (Kochi Tuskers Kerala)। জিওফ লসনের কোচিংয়ে মাহেলা জয়বর্ধনের নেতৃত্বে খেলেছিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ, পার্থিব প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা, এস শ্রীসন্থ, ব্র্যাড হজ, ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ও মুথাইয়া মুরলীথরন ও স্টিভ স্মিথের মতো দেশ বিদেশের ক্রিকেটাররা! যদিও পরের বছরই আইপিএল থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল কোচি টাস্কার্স কেরালা! আর এবার এই কোচির ফ্যাঞ্চাইজির কারণেই আদালতে বিরাট ধাক্কা খেল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)!
আরও পড়ুন: অভিশপ্ত উড়ানে ২৩ বছরের ভারতীয় অলরাউন্ডার! চারদিন পর আসা খবরে নেমে এল শোকের ছায়া…
স্রেফ এক মরসুম আইপিএল খেলা কোচি টাস্কার্সকে এখন ৫৩৮ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বিসিসিআই-কে। বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি রিয়াজ ইকবাল চাগলা এই নির্দেশ দিয়েছেন। নিম্ন আদালতের রায়কে যদিও বিসিসিআই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল, কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন চাগলা । প্রথমে কোচির মালিকানা ছিল রঁদেভ্যু স্পোর্টস নামে একট সংস্থার হাতে। পরে মালিকানা হস্তান্তর হয়ে চলে যায় কোচি ক্রিকেট প্রাইভেট লিমিটেডের হাতে। দলের মালিকদের মধ্যে বিরোধের কারণে, কোচি টাস্কার্স কেরালা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি-র ১০% ব্যাংক গ্যারান্টি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। যা ২০১১ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই দিতে হত। কোচি জানিয়েছিল যে, স্টেডিয়াম সংক্রান্ত সমস্যা, শেয়ার বিষয়ক অনুমতি এবং আইপিএলের ম্যাচ কমায় তারা সময় মতো বিসিসিআই-কে আইপিএলের ব্যাংক জমানত দিতে পারেনি। যদিও বিসিসিআই টাকা না পেয়েও কোচিকে আইপিএল খেলার অনুমতি দিয়েছিল। ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের কাছে টাকা দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও বিসিসিআই টাকা পায়নি। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখেতৎকালীন বিসিসিআই সভাপতি এন. শ্রীনিবাসন জানিয়ে দেন যে, ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে বাতিল করা হচ্ছে। এরপর ১৪ অক্টোবর ২০১১ তারিখে, আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ঘোষণা করে যে, ২০১২ সালে মাত্র ৯টি দল অংশগ্রহণ করবে। ২০১২-র আইপিএল নিলামে কোচি টাস্কার্সের খেলোয়াড়দের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছে নিলামে তোলা হয়েছিল। যে খেলোয়াড়রা কোনও দল পাননি, তাঁদের বেতন আগের মরসুমের দলের ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ১৪৮ বছরের ইতিহাসে বদল, পাঁচের বদলে এবার ৪ দিনের টেস্ট! ইংল্যান্ডে গিয়ে জানলেন শুভমনরা
কোচির সঙ্গে বিসিসিআইয়ের চুক্তিভঙ্গের পর রঁদেভ্যু স্পোর্টসও জমা টাকা তুলে নেয়। এবার বোর্ডের বিরুদ্ধে একসঙ্গে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রঁদেভ্যু স্পোর্টস এবং কোচি ক্রিকেট প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৫ সালে বিশেষ সালিসির রায় চলে এসেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল যে, সুদ-সহ রঁদেভ্যু স্পোর্টসকে ১৫৩ কোটি টাকা এবং কোচি ক্রিকেট প্রাইভেট লিমিটেডকে ৩৮৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বিসিসিআইকে। এরপরই বিসিসিআই নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ ছু়ড়ে বম্বে হাই কোর্টে গিয়েছিল। বোর্ড আদালতে জানিয়েছিল যে, রঁদেভ্যু স্পোর্টস এবং কোচি ক্রিকেট প্রাইভেট লিমিটেড ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে পারেনি। এছাড়াও বোর্ড জানায় যে, ক্ষতিপূরণের টাকা মূল অর্থের চেয়েও বেশি। বিচারপতি চাগলা বোর্ডের সব আর্জিই খারিজ করে জানিয়ে দেন যে, বিসিসিআইয়ের আইনজীবী যুক্তির স্বপক্ষে যে সব নথি আদালতে দিয়েছে, সেগুলি এই ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)