<p style="text-align: justify;"><strong>পুর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া:</strong> অবৈধভাবে মদ বিক্রির অভিযোগ তুলে পথ অবরোধে সামিল হলেন গ্রামের প্রমিলা বাহিনী।&nbsp;বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া-খাতড়া ২ নম্বর রাজ্য সড়কের ইন্দপুর থানার অন্তর্গত ডাঙ্গারামপুর মোড়ে এই অবরোধ করেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে এলাকায় চোলাই মদ বিক্রি বন্ধ করতে হবে এবং যারা এই অবৈধভাবে মদ কারবার করছে তাঁদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি কদিন আগে তাদের এই গ্রামের দুটি ছেলেকে মদ বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করে তাদের ১৪ দিনের জেল হয় এবং আর একজনকে গতকাল গ্রেফতার করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কেন এই কারণেই তাদের এই পথ অবরোধ বলে অভিযোগ।</p>
<p style="text-align: justify;">পথ অবরোধের জেরে ছোট বড় সহ অসংখ্য যানবাহন আটকে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় ইন্দপুর থানার ওসি মনোরঞ্জন নাগ সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। প্রায় এক ঘন্টা চলে অবরোধ। অবরোধকারীদের সাথে দীর্ঘক্ষণ পুলিশ কথা বলে উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। ইনপুর থানার পুলিশ সূত্রে খবর &nbsp;যাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তার কাছ থেকে কোন অবৈধ মত পাওয়া যায়নি।</p>
<p style="text-align: justify;">কিছুদিন আগেই একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। বলাগড়ের সিজা কামালপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের কাদামঘুটু গ্রামে আজ দুপুরে প্রতিবেশি যুবক সমর সরেন মদ খেয়ে গালিগালাজ করছিল। যা নিয়ে প্রতিবাদ করেন স্থানীয় এক বৃদ্ধা। তাঁর নাম বাদলি মান্ডি। ষাট বছরের এই বৃদ্ধার সঙ্গেই সমরের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ এরপরেই, বচসার মাঝেই মুগুর দিয়ে বৃদ্ধাকে আঘাত করে সমর। ঘটনায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে বৃদ্ধা বাদলি মান্ডি। তাঁকে তুলে জিরাট হাসপাতালে নিয়ে যান গ্রামবাসীরা। সেখানেই চিকিৎসারা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বলাগড় থানার পুলিশ। এবং অভিযুক্ত &nbsp;ব্যক্তিকে আটক করে। ঘটনার পর এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।<br />&nbsp;<br />স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী লক্ষী হাঁসদা বলেছিলেন,”আমরা কাজ করছিলাম। হঠাৎ দেখি সমর বাদলি মান্ডির দিকে তেড়ে যাচ্ছে। আমরা বারণ করার পরেও তাঁকে ভীষণ মারতে থাকে সমর।&zwnj; তখন বৃদ্ধা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। গ্ৰামের লোকজনই এরপর বৃদ্ধাকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অভিযুক্ত প্রায়ই সবার সঙ্গে অশান্তি করেন। আমরা অভিযুক্তর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।”</p>
<p style="text-align: justify;">স্থানীয় সিজা কামালপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েত এর উপ প্রধান অরিজিৎ দাস বলেছিলেন, ”বাদলি মান্ডি মাঠ থেকে কাজ করে বাড়ি ফেরার পর অভিযুক্ত সমর সোরেন বৃদ্ধাকে প্রচন্ডভাবে মুগুর দিয়ে আঘাত করে। তারপর বৃদ্ধা মারা যান। অভিযুক্ত খুব খারাপ ছেলে। এলাকায় সমস্ত প্রতিবেশীর সাথে অশান্তি করে। আভিযুক্তকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে।”</p>



Source link