# Tags
#Blog

শালি নদীর জল নামতেই বিপর্যয় ! সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বাঁকুড়ায় প্রায় ৫০ টি গ্রাম

শালি নদীর জল নামতেই বিপর্যয় ! সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বাঁকুড়ায় প্রায় ৫০ টি গ্রাম
Listen to this article


তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব কাটতেই অন্যান্য নদীর মতোই বাঁকুড়ার শালি নদীতে নেমেছে জলস্তর। কেটেছে বন্যার আশঙ্কা। কিন্তু বিপদ যেনও কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না সোনামুখী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের। নদীর জল নামতেই এবার ধসে পড়ল আস্ত সেতুর একাংশ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের রামপুর থেকে পিয়ারবেড়া যাওয়ার রাস্তার উপর থাকা শালী নদীর সেতুর। গতকাল সেতুর ওই অংশ ভেঙে পড়তেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সোনামুখী ব্লকের ৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪০ থেকে ৫০ টি গ্রাম।

নিত্যদিনের বাজার থেকে শুরু স্কুল কলেজ সমস্ত সোনামুখী ব্লকের পিয়ারবেড়া, হামিরহাটি ও ধুলাই এই ৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ সোনামুখী শহরের উপর নির্ভরশীল। সোনামুখী শহরে যাতায়াতের পথেই পড়ে শালী নদীর এই সেতু। পাকা কংক্রিটের সেই সেতু দিয়েই এতদিন চলছিল যাতায়াত। ঘূর্ণাবর্তের প্রবল বৃষ্টিতেও বন্ধ হয়নি যাতায়াত। তবে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব কাটতে না কাটতেই সেতুর হাল বেহাল হতে শুরু করে।

গতকাল সেতুর মাঝামাঝি অংশে একাধিক পিলার বসে যাওয়ায় সেতুর একাংশ পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। বড়সড় বিপদের আশঙ্কায় বিপজ্জনকভাবে ঝুলে থাকা ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। স্থানীয়দের দাবী দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় এবং প্রয়োজনীয় মেরামতি না করার ফলেই সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছিল।

বিধায়ক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলার ফলেই সেতুর ভিত নড়বড়ে হয়ে ধসে পড়ে। স্থানীয় পিয়ারবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ইঞ্জিনিয়ারেরও দাবী, সেতুর ভিতের অংশ দিয়ে জল বয়ে যাওয়াতেই এই বিপত্তি। তাঁর দাবী সেতুর বেহাল দশার কথা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন, বেঁচে থাকার অধিকার নেই, এনকাউন্টার করে মারা উচিত : RG Kar নিয়ে বিস্ফোরক অভিষেক

সেতুটি ধসে পড়ার জন্য শাসক দলকে কাঠগোড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক। তাঁর দাবী শাসক দলের মদতেই সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে দিনের পর বালি চুরি হওয়ার ফলেই ভিত নড়বড়ে হয়ে সেতুটি ধসে পড়েছে।অন্যদিকে হামিরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জয়রাম পাল বলেন, বিধায়কের দাবি ভিত্তিহীন। বহু বছর আগে শালী নদী থেকে বালি তোলা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে এই সমস্যা উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে দ্রুত কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় তার সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 

 

 

আরও দেখুন



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal