তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: আবাস প্রকল্পে বাড়ি তৈরির কাজ চলছিল। তাই উঠোনের একপাশে থাকা অন্য বাড়িতে সাময়িকভাবে থাকছিলেন পরিবারের সদস্যরা। আর সেখানেই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা। গভীর রাতে সেই ঘর ধসে মৃত্যু হল পরিবারের দুই সদস্যের। গতকাল গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দাস নন্দীপাড়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম উজ্জ্বলা হাজরা (৬০) ও দেব কেওড়া (১২)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ইন্দাস নন্দীপাড়া এলাকায় নিজেদের মাটির ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন উজ্জ্বলা হাজরা। সম্প্রতি আবাস প্রকল্পে বাড়ির বরাদ্দ টাকা পাওয়ায় তিনি নিজের ঘর ভেঙে পাকা ঘর তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। এই অবস্থায় সাময়িকভাবে বাড়ির উঠোনের একপাশে থাকা একটি ঝিটেবেড়ার ঘরে আশ্রয় নিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। গত রাতে ওই ঝিটেবেড়ার ঘরে উজ্জ্বলা হাজরা নাতি দেব কেওড়াকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকাই ঝিটে বেড়ার ঘর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আর তাতেই চাপা গিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের দাবী স্থানীয় একটি পুকুরের জল তুলে ফেলার কাজ করছিলেন পুকুরের মালিক। পুকুরের সেচ করা জল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল উজ্জ্বলা হাজরার ঝিটেবেড়ার ঘরের পাশ দিয়ে। তাতেই ঘরের দেওয়াল ভিজে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গোটা ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই এলাকায় ছুটে যান বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ প্রশাসনিক আধিকারিক ও পদাধিকারীরা। সবরকমভাবে পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
এর আগে গত শুক্রবার বাঁকুড়া শহরের লালবাজার মাঝিপাড়া এলাকায় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ২জনের, গুরুতর জখম হন আরও ৩ জন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওইদিন ভোরে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দা নিতাই পালের বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখেন এলাকাবাসীরা। দমকল ও পুলিশ এসে বাড়িতে থাকা ৫ জনকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। সেখানে নিতাই পাল ও মিনা পাল নামে দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাকি তিনজন আহতকে দুর্গাপুরের একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। স্থানীয়দের অনুমান, রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বাড়িতে আগুন লেগে যায়।
আরও পড়ুন: Baghajatin Building Collapse: বাঘাযতীনে বহুতল বিপর্যয়, বকখালি থেকে গ্রেফতার প্রোমোটার
আরও দেখুন
+ There are no comments
Add yours