জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে অনকটা খাটো করে দেখার চেষ্টা হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে। তবে এনিয়ে একেবারে উল্টো কথা বললেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মানে বাংলাদেশ, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান মানে বাংলাদেশ। বাংলাদেশপন্থীদের অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধপন্থী হতে হবে। তবে এটাও সত্য যে মুক্তিযুদ্ধ করা অনেকেই ফ্যাসিস্ট ও তাঁবেদার হয়ে উঠেছিল। আজ তারা ছাত্র-জনতার কাছে পরাজিত হয়েছে।
আরও পড়ুন-‘আরজি করে নির্যাতিতার পরিবার কী চান, ক্ষতিপূরণ না দাঙ্গা’? প্রশ্ন মদনের..
মাহফুজ আলম সোশ্যাল মিডিয়ার একে পোস্টে লেখেন, মুক্তিযুদ্ধের পর কী হয়েছে তার সমালোচনা হোক। ইতিহাস পর্যালোচনা হোক। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কী ঘটেছিল তা নিয়েও বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু সেসবই হবে মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিয়ে। যেমন, শেখ মুজিবের ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠা নিয়ে আমরা বলব। উনি ফ্যাসিস্ট ছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের জন্মে অনেক জাতীয় নেতৃত্বের মতো মুজিবের অবদান অনস্বীকার্য। তাই আমরা ১৯৭২ এর আগের শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর প্রাপ্য গুরুত্ব দেব।
মাহাফুজ আরও লিখেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ ফ্যাসিস্ট হতেই পারেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ছিল জনগণের লড়াই। মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশের ফ্যাসিস্ট, ইসলামফোবিক ও খুনি হয়ে ওঠার কারণে আপনি খোদ মুক্তিযুদ্ধ বা সব মুক্তিযোদ্ধাকে অস্বীকার কিংবা তাদের উপরে প্রশ্ন তুলতে পারেন না। এটা রাষ্ট্রের ভিত্তির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। আমরা ভুলে যাই, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী ১০ বছরের ইতিহাস ছিল, ফ্যাসিস্ট মুজিববাদী মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতবিরোধী, দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যকার লড়াইয়ের ইতিহাস। কিন্তু সে জন্য আধিপত্যবাদবিরোধী কোনো মুক্তিযোদ্ধা খোদ মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার দুঃসাহস করেননি। এখানেই পিকিংপন্থীদের সঙ্গে অন্যদের তফাত।
সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্ মাহফুজ লেখেন, বাংলাদেশপন্থীদের অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধপন্থী হতে হবে, তবে এটাও সত্য যে মুক্তিযুদ্ধ করা অনেকেই ফ্যাসিস্ট ও তাঁবেদার হয়ে উঠেছিল। আজ তারা ছাত্র-জনতার কাছে পরাজিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা যাবেন, তারা ও মজলুম বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে অতীতে পরাজিত হয়েছেন, সামনেও পরাজিত হতে বাধ্য। জুলাই সুযোগ নিয়ে এসেছে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার। লীগের সাথে বিচারকার্য সম্পন্ন করে রিকন্সাইল করতেও আমরা আগ্রহী ছিলাম। অথচ দিল্লির আশ্রয়ে থেকে দেশবিরোধী চক্রান্ত করাকেই তারা বেছে নিল। আপনারাও ইতিহাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। জাতিকে বিভাজন থেকে রক্ষা করতে অবশ্যই ’৭১ ও ’২৪ কে নিঃশর্ত ও নিরঙ্কুশ মেনে এগোতে হবে ।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)