NOW READING:
Bangladesh Quota Movement: সংরক্ষণ নয়, মেধার ভিত্তিতেই চাকরি! ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের…
July 21, 2024

Bangladesh Quota Movement: সংরক্ষণ নয়, মেধার ভিত্তিতেই চাকরি! ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের…

Bangladesh Quota Movement: সংরক্ষণ নয়, মেধার ভিত্তিতেই চাকরি! ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের…
Listen to this article


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অবশেষে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে শান্তির হাওয়া। ছাত্রদের পক্ষেই এল সুপ্রিম রায়। জানা গিয়েছে, প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে এই মামলার শুনানি চলে। ফলস্বরূপ, মুক্তিযোদ্ধা কোটার হার কমিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর পাশাপাশি পড়ুয়াদের ক্লাস করতে আবেদন জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

কী রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট?
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিনুদ্দিন জানিয়েছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে হাইকোর্টে রায় অবৈধ। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য সরকারি চাকরিতে পাঁচ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। অন্যান্য শ্রেণির জন্য থাকবে আরও দুই শতাংশ সংরক্ষণ।’
তবে শীর্ষ আদালত একেবারেই মুক্তিযোদ্ধা সংরক্ষণ তুলে দেয়নি। জানা গিয়েছে, সেটি ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। মেধা নির্ভরদের জন্য ৯৩ শতাংশ। বাকি ২শতাংশ অন্যান্যদের জন্য।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সরকার সরকারি চাকরি ও প্রশাসনিক পদে ৫৬ শতাংশ সংরক্ষণ করেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের এবং তাঁদের আগামী প্রজন্মের জন্য। বাকি ৪৪ শতাংশ ছিল সাধারণের জন্য। ৫৬ শতাংশের মধ্যে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজনদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, বিভিন্ন জেলার জন্য ১০ শতাংশ, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষিত পদ ছিল। 

আরও পড়ুন:Bangladesh Quota Movement: ‘দেখলেই গুলি চালাও’! নির্দেশ হাসিনার, আজই সুপ্রিম শুনানি…

২০১৮ সালে এই সংরক্ষণ সংস্কারের দাবিতে সরব হয় ছাত্র-যুবরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। সেই সময় হাসিনা মুক্তিযোদ্ধার স্বজনদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং জেলা খাতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল করে দেন। এর পাল্টা ৭জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হাইকোর্টে যান। এবং সেই নির্দেশনামার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে। চলতি বছরের  ৫ জুন হাইকোর্ট সেই নির্দেশনামা অবৈধ বলে রায় দেয়। নির্দেশনামা বাতিলের অর্থ ফের আগের মতো সংরক্ষণ ফিরে আসা।

তারই প্রতিবাদে বাংলাদেশের পড়ুয়ারা তীব্র আন্দোলনে সোচ্চার হয়। আন্দোলন রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। শতাধিক পড়ুয়া এই আন্দোলনে প্রাণও হারায়। বহুসংখ্যক নিহত হয়ে বলে জানা যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসিনা সরকার কার্ফু জারি করে। রাস্তায় নামানো হয় সেনা নামানো হয়। গোটা দেশ জুড়ে টহলদারি দেয় সেনারা। যদিও বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত নিহত ও আহতদের কোনও আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানায়নি। তবে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, দুপুর ৩টে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কার্ফু তুলবে। তারপর আবার বিকেল ৫টা থেকে কার্ফু জারি করবে। তবে সুপ্রিম কোর্টে রায়ের পর অশান্তি কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link