অয়ন ঘোষাল: পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫টি আন্তর্জাতিক সীমান্ত। মেহদিপুর, ঘোজাডাঙা, চ্যাংড়াবান্ধা, পেট্রাপোল এবং হিলি। এই ৫টি আন্তর্জাতিক সীমান্তের এপার এবং ওপার মিলিয়ে গত ৬ থেকে ৭ দিন ধরে এই রাজ্যের ২১২৩টি পণ্যবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে! তারা ইমিগ্রেশন স্লট পায়নি। এর মধ্যে ৮১৩টি ট্রাকে পচনশীল সামগ্রী যেমন মাছ সবজি ফল ইত্যাদি আছে। সেগুলো পচে নষ্ট হওয়ার উপক্রম।

আরও পড়ুন: Bangladesh Protest: হাসিনা-উৎখাতের পরেই বঙ্গভবনে জরুরি বৈঠক! জেনে নিন, আগামীদিনে কী ঘটতে চলেছে বাংলাদেশে…

হাসিনা যেদিন দেশ ছাড়লেন সেদিন সীমান্তের ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা ২০০-রও বেশি ভারতীয় ট্রাকে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা হয়েছিল। বিডিআর কোনও ক্রমে তা আটকেছে। গতকাল বেলা ১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত ৩০৮টি ট্রাক এই ৫টি সীমান্ত পেরিয়ে এই রাজ্যে প্রবেশ করতে পেরেছে।

কিন্তু এদিক থেকে কোনো ট্রাক ওদিকে যায়নি। এর জেরে প্রতি বর্ডারে দৈনিক কয়েক কোটি টাকা করে লোকসান হচ্ছে। এমনিতেই জ্বালানির চড়া দাম এবং চালক ও খালাসির মাসোহারা বেড়ে যাওয়ায় ট্রাক শিল্পে মুনাফা কমেছে। তার মধ্যে বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতি এই শিল্পের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার মতো অবস্থা তৈরি করেছে বলে আশঙ্কা ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন-এর রাজ্য সভাপতি সজল ঘোষের।

বিষয়টি ইতিমধ্যেই সংগঠনের শীর্ষ ফোরাম ‘অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস’-এর নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকরিকে জানিয়েছেন। মন্ত্রী বিষয়টি জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রককে। তবে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে কোনো ইতিবাচক বার্তা আসেনি।

একনজরে পণ্য-বিপর্যয়

আটকে মোট  ২০০০ ট্রাক

এর মধ্যে ৮০০ ট্রাকে পচনশীল সামগ্রী

৭ দিন ধরে আটকে, স্লট পায়নি 

কিছু ট্রাকে (২০০-র মতো) অগ্নিসংযোগের চেষ্টা হয়েছিল

আরও পড়ুন: Rabindranath Tagore’s Death Anniversary: ‘এই দৃশ্য সহ্য করতে পারতাম না, হয়তো আত্মহত্যা করতাম’! বাংলাদেশে রবিমূর্তি ভাঙা নিয়ে বললেন…

প্রতি বর্ডারে দৈনিক ক্ষতি আনুমানিক ১৪ থেকে ১৬ কোটি টাকা

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *