কলকাতা: ভারত-বাংলাদেশের বিদেশ সচিবের বৈঠকের দিনে একদিকে যখন রাজভবনে কুণাল ঘোষ, ঠিক তখনই অন্য দিকে শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কলকাতা দখলের ডাকের পর বাংলাদেশকে কড়া বার্তা বিরোধী দলনেতার।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, উনি ভারত সরকারকে চিঠি দিতে পারেন। বাংলাদেশের ঘটনায় পশ্চিম বাংলায় ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে। মুখরক্ষার জন্য এটা বলছেন উনি। আবার ওনার সরকারের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সরাসরি মুহাম্মদ ইউনূসকে সমর্থন করছেন। নরেন্দ্র মোদিজির নিন্দা করছেন। অতয়েব বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে, ফিরহাদ হাকিমকে, রাণী রাসমণি রোডকে ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। আর হিন্দুরা জাতীয় পতাকা নিয়ে, কলকাতার বুকে প্রতিবাদ করতে গেলে, হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিতে হয়। অর্থাৎ একই অঙ্গে বহু রূপ। এই সব কথার কোনও মূল্য আছে বলে আমি মনে করি না।’
এরপরেই বাংলাদেশের কলকাতা দখলের ডাকের হুমকি নিয়ে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। বলেন, ‘আমার কাছে খবর আছে, ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিক্সা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখল করার জন্য। আরে ওদের আছেটা কী ? র্যাফেল রাখা আছে হাসিমারায়। শুধু আওয়াজ দিলে না ওখান থেকে, প্যান্টে বাথরুম হবে।’
অপরদিকে, এদিন তিনি ডোমকলে বোমা বিস্ফোরণের মৃত্যুর ইস্যু তুলে বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎ হঠাৎ করে বিধানসভায় উদয় হন। আগে থেকে কেউ জানতে পারে না। উনি এখুনি এসে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিয়ে গেলেন। উনি একবারও বললেন না, ডোমকলে বোমা বিস্ফোরণে, ওনার যারা ভোট ব্যাঙ্ক, সেই ভোটব্যাঙ্কের লোকেরা পরপারে চলে গিয়েছে।’
আরও দেখুন