আড়াই বছরের শিশু কোলে এপারে, বাংলাদেশে পড়ে রইল বাড়ি ! কাঁটাতার পেরোতেই যা হল…
সমীরণ পাল ও প্রসেনজিৎ সাহা, উত্তর ২৪ পরগনা ও ত্রিপুরা : অনুপ্রবেশের জন্য় কে দায়ী? মোদি সরকার? না মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকার? তা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির দায় ঠেলাঠেলি চলছেই। এরই মাঝে ফের রাজ্য তথা দেশে, বাংলাদেশ থেকে আসা একের পর এক অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার করা হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগণার সুন্দরবন অঞ্চলের হেমনগর কোস্টাল থানা এলাকা থেকে তিন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগণার সুন্দরবন লাগোয়া হেমনগর কোস্টাল থানার যোগেশগঞ্জের নবদূর্গা মোড়ে সকাল নটা নগাদ সন্দেহজনক ভাবে তিন জন ঘোরা করার সময় পুলিশ তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জেরার তারা জানায় বাংলাদেশ খুলনা জেলা থেকে অবৈধভাবে হিঙ্গলগঞ্জের কালিন্দী নদী পেরিয়ে ভারতে ঢোকে। এই তিন বাংলাদেশীর নাম আলাউদ্দিন সর্দার, আলামিন গাজী ও প্রীতম কুমার মণ্ডল। অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার অভিযোগে তিন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজই এই তিন বাংলাদেশীকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগরতলা রেল স্টেশন থেকে ২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশ । তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় তারা কলকাতা যাবে বলে জানিয়েছে। পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক আটক সাব্রুমের প্রত্যন্ত উপজাতি জনপদ মাগরুম এডিসি ভিলেজ এলাকায়। কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে একই পরিবারের ৫ সদস্য।
সাব্রুম থানার পুলিশ গোপন খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল ৯টা ৫ মিনিট নাগাদ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের সহযোগিতায় মাগরুম এডিসি ভিলেজ এলাকা থেকে এই পাঁচ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতার করে সাব্রুম থানায় নিয়ে আসে। আটক হওয়া বাংলাদেশিরা হলেন সনাতন মিশ্র দে (বয়স ৩৫), তন্নি দে (বয়স ২৫), নারায়নী দে (বয়স ৫৭)।
এছাড়াও তাঁদের সাথে সাড়ে তিন বছর ও আড়াই বছরের দুই কন্যা সন্তানও রয়েছে। সকলের বাড়ি বাংলাদেশের রাঙ্গামাটিতে। ধৃতরা মায়াপুর ও পুরী ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কাঁটাতারের নীচে কালভার্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করে, বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে বলে জানান সাব্রুম মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নিত্যানন্দ সরকার।
আরও পড়ুন, ‘হেলে পড়া বাড়ি মানেই বিপজ্জনক নয়..’, বললেন ফিরহাদ হাকিম !
সম্প্রতি অনুপ্রবেশ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘এখানে গুন্ডা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বর্ডার দিয়ে খুন করছে চলে যাচ্ছে এইরকম লোক পাঠানো হচ্ছে। এটা বিএসএফর অনেক ভিতরকার কাজ। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটা ব্লু প্রিন্ট আছে।’
আরও দেখুন