সেলিম রেজা, ঢাকা: ঢাকায় বায়ুদূষণ রোধে তত্পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। কীভাবে? ড়কের পাশে নিরবচ্ছিন্ন বাতাস পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (কন্টিনিউয়াস এয়ার মনিটরিং স্টেশন-সিএএমএস) স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্পের খরচ হবে প্রায় ১০৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: Pakistan: পাকিস্তানে সেনা ছাউনিতে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা, মৃত ৯
প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারণেই দূষিত হচ্ছে শহরের বাতাস। পৃথিবীতে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসছে ঢাকা। শীতের সময়ে টানা বেশ কয়েক সপ্তাহ ঢাকায় মান ছিল ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’। জানা গিয়েছে, রাজধানীতে বায়ুদূষণ রোধে যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, সেই প্রকল্প রূপায়ণে ৬৭.৮৪ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দেবে জাপানি সংস্থা জাইকা। আর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার খরচ করবে বাকি ৪১. ১১ কোটি টাকা।
স্রেফ ঢাকা নয়, এই প্রকল্পে চট্টগ্রাম-সহ দেশের বড় শহরগুলিতে দূষণ মোকাবিলার পরিকল্পনা করেছে ইউনূস সরকার। সিএএমএস স্থাপনের সময়সীমা ৩ বছর। ২০২৫ থেকে ২০২৮। বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা জি ২৪ ঘন্টার বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ‘এয়ার পলিউশন মনিটরিং উন্নয়ন প্রকল্প’ শিরোনামে একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে জমা দিয়েছে। প্রকল্পটির মোট বাজেট ১০৮ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ৪১ দশমিক ১১ কোটি টাকা ও জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) অনুদান দেবে ৬৭ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের মার্চ থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে’।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে স্থাপিত দূষণ পর্যবেক্ষণের ৩১টি স্টেশনের তুলনায় নতুন কেন্দ্রগুলো বেশি কার্যকর হবে। নতুন কেন্দ্রগুলো শহরের প্রধান সড়কে স্থাপন করা হবে। যেখানে যানবাহন থেকে নির্গত গ্যাস ও রাস্তার ধুলা একযোগে বায়ু দূষণ তৈরি করে। নতুন এই স্টেশনগুলো বাংলাদেশ সরকারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে।
বাংলাদেশে বায়ুদূষণে মাত্রা রীতিমতো উদ্বেগজনক। ২০১৯ সালে শুধুমাত্র বায়ুদূষণের কারণে অকালে প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার মানুষ। বাতাসে ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া সীমার চেয়ে ১৫ গুণ বেশি। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এ পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশের মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।।
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ওয়ানাইজা রহমান জি ২৪ ঘন্টাকে বলেন, ‘যদি এখনই পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে বায়ু দূষণ বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াবে’। তাঁর মতে, বায়ু দূষণ প্রতিরোধে আরও অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ এখনও বাকি। । যেমন শীতকালে বিভিন্ন আবর্জনা পোড়ানো হয়, এগুলো বন্ধ করতে হবে। রাস্তাঘাট থেকে যে ধূলোবালি ওড়ে, সেগুলো বন্ধের ব্যবস্থা করতে হবে। ভালো মানের জ্বালানি তেল ব্যবহার করতে হবে। আমাদের অল্টারনেটিভ ফুয়েলের বিষয়ে ভাবতে হবে। ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম কমাতে হবে। শিল্প কারখানা, জেনারেটর ও গাড়ির কালো ধোঁয়া বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের রাস্তাঘাট এবং গাছপালা, জলাধারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। পরিকল্পিত শহর গড়ে তুলতে হবে। আন্তঃদেশীয় দূষণও কমানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এসব ব্যবস্থা নিলেই বাংলাদেশে বায়ু দূষণ কমে যাবে’।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News
আরও পড়ুন: A23a iceberg: ভয়াবহ বিপর্যয়? মহাপ্লাবন? ধ্বংস? দ্বীপের জলে আটকে বিশ্বের বৃহত্তম হিমশৈল A23a…
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
+ There are no comments
Add yours