রাওয়ালপিন্ডি: ইতিহাস ওপার বাংলার ক্রিকেট দলের (Bangladesh Cricket Team)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ় জিতলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিমরা। রাওয়ালপিন্ডিতে তৈরি হল ইতিহাস। পাকিস্তানকে তাদেরই ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। ২-০ জিতে নিল টেস্ট সিরিজ়।
প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে (PAK vs BAN 2nd Test) ওপার বাংলার দল জয় পেল ছয় উইকেটে। ঘরের বাইরে এই নিয়ে মাত্র তৃতীয় টেস্ট সিরিজ় জিতল বাংলাদেশ। এর আগে জিম্বাবোয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে হারিয়েছিল বাংলাদেশ, এবার এল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়। এই পরাজয়ের ফলে পাকিস্তান নিজেদের ঘরের মাঠে নাগাড়ে ১০ টি টেস্ট ম্যাচে জয়হীন।
হাসান মামুদ ও নাহিদ রানার আগুনে গতির বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং। মহম্মদ রিজওয়ানের ৪৩ রান সলমন আলি আগার ৪৭ রানের লড়াকু ইনিংসে কোনওক্রমে ১৭২ রান তোলে পাকিস্তান। ঐতিহাসিক সিরিজ় জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮৫ রান। সেই লক্ষ্যে চতুর্থ দিনের শেষে বিনা উইকেটে ৪২ রান তুলে শুরুটা ভালই করেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের পঞ্চম দিনেই চার উইকেট হারিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের কোনও ব্যাটারই দ্বিতীয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করতে না পারলেও, সকলেই শুরুটা ভালই করেছিলেন। ওপেনিংয়ে জাকির শতাধিক স্ট্রাইক রেটের ঝোড়ো ইনিংসে ওপার বাংলার দলের হয়ে শুরুটা ভালই করেন। তাঁর পার্টনার শাদমান ২৪ রান করেন। নাজমুল ও মোমিনুল ৫৭ রান যোগ করে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন। শেষমেশ বাংলাদেশের দুই সবথেকে অভিজ্ঞ তারকা শাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর অপরাজিত ইনিংসে দলের বৈতরণী পার করান।
তবে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক লিটন দাস (Litton Das)। প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেললেও লিটনের ১৩৮ রানে ভর করেই পাল্টা লড়াই চালায় বাংলাদেশ। মেহেদি হাসান মিরাজ (Mehidy Hasan Miraz) খেলেন ৭৮ রানের ইনিংস। এই দুইই বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেন। লিটনকে অনবদ্য শতরানের জন্য ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয়। মেহেদি মিরাজ জেতেন সিরিজ় সেরার পুরস্কার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: ‘আমি প্রচুর খেটেছি’, ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলে সুযোগ পেয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া সমিত দ্রাবিড়ের
আরও দেখুন