NOW READING:
Bangladesh: বিশবাঁও জলে পড়ুয়ারা! বন্ধের মুখে ৬ সরকারি মেডিক্যাল কলেজ
March 18, 2025

Bangladesh: বিশবাঁও জলে পড়ুয়ারা! বন্ধের মুখে ৬ সরকারি মেডিক্যাল কলেজ

Bangladesh: বিশবাঁও জলে পড়ুয়ারা! বন্ধের মুখে ৬ সরকারি মেডিক্যাল কলেজ
Listen to this article


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মেডিক্যাল কলেজে হিসেবে নাম রয়েছে কিন্তু পরিকাঠামোর অভাব। কোথাও নেই পর্য়াপ্ত সিক্ষক, কোথাও নেই ল্যাব। ডামাডোলে চলা ৬ মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ করে দিতে পারে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে দক্ষ চিকিৎসক তৈরিতে কোনো আপোস করা হবে না। আর বন্ধ করে দেওয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠানো হবে নিকটবর্তী কোনো মেডিকেল কলেজে।

Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News

দেশের স্বাস্থ্য-শিক্ষা দফতরের পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হোসেন বলেন, ওই ৬ মেডিকেল কলেজের কোনোটিতেই নেই স্থায়ী ক্যাম্পাস। সদর হাসপাতাল বা ভাড়া ভবনে চলছে ক্লাস। নেই মানসম্মত ল্যাব। শিক্ষক না থাকায় অন্য কলেজ থেকে শিক্ষক এনে চলে পঠনপাঠন। এত সংকটের ভেতরেও বাড়ানো হয় আসন সংখ্যা। এ অবস্থায় ৬ কলেজ নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার।

এদিকে, অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলের প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপি ও আমলা এই ৬ মেডিকেল কলেজে তৈরি করেছিলেন। তাই ওইসব মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

২০১৮ সালে অনুমোদন পায় নেত্রকোণা মেডিকেল কলেজ। এখনও সেখানে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক ও পরিকাঠামো। সদর হাসপাতালের কয়েকটি কক্ষে শুরু হয় ক্লাস। এখনও চলছে জোড়াতালি দিয়েই। এর পরও গত বছর আসন সংখ্যা ৫০ থেকে ৭০ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-বিশবাঁও জলে পড়ুয়ারা! বন্ধের মুখে ৬ সরকারি মেডিক্যাল কলেজ

শিক্ষার্থীরা বলছেন, নেত্রকোণা মেডিকেল কলেজে নেই রেজিস্ট্রার বা সাব-রেজিস্ট্রার। সেই সঙ্গে রয়েছে শিক্ষক সংকট। পার্ট টাইম শিক্ষকেরা এসে এখানে ক্লাস নিচ্ছেন। এ ছাড়া কলেজের গবেষণাগারে নেই পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি। এ কারণে বইয়ের ওপরই নির্ভরশীলতা থাকতে হচ্ছে। কোনো কিছুই হাতে-কলমে শিখতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

চাঁদপুর মেডিকেলের জমি জোগাড় হয়নি। কলেজ চলছে ছয় বছর ধরে। সদর হাসপাতালের মাত্র আটটি কক্ষেই চলছে এই কলেজ। পড়ুয়ারা বলছেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের জায়গা হয় না। এক ব্যাচের ক্লাস চলাকালীন অন্য ব্যাচ দাঁড়িয়ে থাকে। এ ছাড়া এ কলেজের নেই কোনো নিজস্ব হোস্টেল। একটা ভবন ভাড়া নিয়ে সেখানে শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ ছাড়া নওগাঁ, নীলফামারী, মাগুরা ও হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের অবস্থাও একই। ছয়টি মেডিকেলই তৈরি হয়েছে কোনো পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি ছাড়া। এর পেছনে ছিল আওয়ামী লীগ আমলের প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপি ও আমলা।

আরও পড়ুন-সোশ্যাল মিডিয়ায় ছয়লাপ ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের ভিডিয়ো, অধ্যাপকের কীর্তিতে তোলপাড় কলেজ

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘এই ছয় মেডিকেল কলেজের কোনোটিতেই নেই স্থায়ী ক্যাম্পাস। সদর হাসপাতাল বা ভাড়া ভবনে চলছে ক্লাস। নেই মানসম্মত ল্যাব। জনবল অনুমোদন না হওয়ায় অন্য কলেজ থেকে শিক্ষক এনে চলে পাঠদান। এত সংকটের ভেতরেও বাড়ানো হয় আসন সংখ্যা। এ অবস্থায় ছয় কলেজ নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার।’

স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রাজনৈতিক বিবেচনা এবং পরিকল্পনা-প্রস্তুতি ছাড়া আর কোনো মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হবে না।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link